মুকুলের বিজেপিতে যোগদানের পর রটনা মিলে গেল!
মুকুল রায় ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর ঠিক এই প্রশ্ন উঠেছিল? তার উত্তর কি খুঁজে পাওয়া গেল চার বছরে? চার বছর আগে মুকুলের তৃণমূল ত্যাগ ও বিজেপিতে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা ছিল- মুকুল রায় বিজেপিকে বাড়াতেই এসেছেন। গট আপ গেম এটা। বিজেপিকে একটা লেভেল পর্যন্ত বাড়তে দিয়ে তারপর ভোটে ফেল করিয়ে দেবে। তারপর ঘরে ফিরে যাবে।
অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে সেই ব্যাখ্যা
২০২১-এর ভোটের ফল এবং মুকুল রায়ের একমাসের মধ্যে ঘরে ফেরার নেপথ্যে রাজনৈতিক মহলের সেই ব্যাখ্যা কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। মুকুল রায় বিজেপিতে তাঁর যা করণীয় সবই করেছেন। তৃণমূলকে ভেঙে ছারখার করে দিয়েছেন একা হাতে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর মতো তৃণমূলের ভবিষ্যৎকে পর্যন্ত বিজেপিতে টেনে নিয়ে গিয়েছেন।
মুকুলকে কোনও গুরুত্বের পদ দেয়নি বিজেপি
বিজেপিও ভেবেছিল, মুকুল রায়ের আর কিছু করণীয় নেই। তাঁকে দিয়ে সমস্ত কাজই করে নিয়েছে বিজেপি। সে অর্থে এই চার বছরে মুকুল রায়কে কোনও গুরুত্বের পদ দেয়নি বিজেপি। একুশের ভোটের আগে গোঁসা ভাঙাতে তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়েছিল। সেই পদের আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব নেই।
ভোট চলাকালীন মুকুল রায়ের নিস্পৃহ থাকা
এদিকে বিজেপি তৃণমূলকে ভেঙেও বাংলার ভোটে সুবিধা করতে পারেনি। কারণ বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে। ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সম্প্রতি একটা কথা উঠেছে, মুকুল রায় সক্রিয় হলে আরও ১৮-২০ আসন জিততে পারত বিজেপি। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ভোট চলাকালীন মুকুল রায়ের নিস্পৃহ থাকা তাৎপর্যপূর্ণ।
তৃণমূল ক্ষমতায়, বিরোধী আসনে বিজেপি
মুকুল রায় বিজেপিকে একটা লেভেল পর্যন্ত বাড়তে দিয়েছেন, তারপর তিনি সরে গিয়েছেন পরিকল্পনা মতোই। এবং বিজেপির বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও তিনি ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। বাংলার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে সেই তৃণমূল কংগ্রেসই। বরং আরও বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একমাত্র বিরোধী হিসেবে বাংলায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বিজেপি।