ঢাকা: বিতর্ক আর শাকিব যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ফের বিতর্কে শাকিব-আল হাসান (Shakib Al Hasan)। আম্পায়ার তাঁর আবেদনে সাড়া না-দেওয়ায় মেজাজ হারিয়ে বসলেন প্রাক্তন বাংলাদেশি অধিনায়ক। শুধু মেজাজ হারালেন না৷ লাথি মেরে ভাঙলেন স্টাম্প। শুক্রবার মীরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলতি ঢাকা প্রিমিয়র লিগে (Dhaka Premier League) মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan Sporting Club) ও আবাহনী লিমিটেডের ম্যাচে ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেন শাকিব৷

ঘটনাটি স্টাম্প ভাঙাতে থেমে থাকেনি৷ আম্পায়ারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান শাকিব। আবাহনীর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তুমুল বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনি যখন মাঠকর্মীদের কাভার আনার ইশারা দিচ্ছেন, তখন শাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে স্টাম্প তুলে ছুড়ে ফেলেন।

এমনকি প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম পরিচালক খালেদ মামুদ সুজনের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন প্রাক্তন বাংলাদেশি অধিনায়ক। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে নেট মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেন শাকিব। ম্যাচের পর শাকিব বলেন, “I apologise to the teams, management, tournament officials and organizing committee for this human error. Hopefully, I won’t be repeating this again in the future. Thanks and love you all.”

যদিও অনেকে মনে করছেন শাস্তি পেতে পারেন তিনি। মামুদের সঙ্গে তাঁর বিতর্কের সুত্রপাত খেলোয়াড়েরা যখন মাঠ ত্যাগ করছিলেন৷ তখন নিজেকে সামলাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল শাকিবের। এ সময় আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে কিছু বললে খেপে গিয়ে তেড়ে আসেন কোচ মাহমুদ। এগিয়ে যান শাকিবও। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তখন শাকিবকে জাপটে ধরে থামানোর চেষ্টা করেন।

তবে ঘটনার সুত্রপাত আবাহনী ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে নিজের বোলিংয়ে এলবিডব্লিউ-র আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন শাকিব। পরের ওভারেই শুভাগত হোমের বোলিংয়ের সময় বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করার ঘোষণা দিলে শাকিব নিজের হাতে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। তারপর ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.