করোনা মন্দার জেরে গত বছর খেকেই ধুঁকছে গোটা দেশের অর্থব্যবস্থা। এদিকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে একটানা লকডাউনের মাঝেই গত একমাসে ২১ বার বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। এদিকে করোনা জোয়ার রুখতে কমবেশি প্রতিটি রাজ্যেই ফের স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। যার ফলে জ্বালানির ব্যবহার প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহনের পাশাপাশি গত কয়েক মাসে অন্তর্দেশীয় উড়ানেও ছিল একাধিক নিষেধাজ্ঞা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পরিবেষাতেও নামে খাঁড়া। যার ফলে অন্যান্যা যানবহনের মতো বিমান খাতেও জ্বালানির ব্যবহার একধাক্কায় যে অনেকটাই কমেছে তা বলাই বাহুল্য। সেন্ট্রার পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেলের (পিপিএসি) তথ্য অনুসারে, বিমানের জ্বালানির ব্যবহার সর্বাধিক হ্রাস পেয়েছে মার্চেই। শুধু ওই মাসেই কমেছে প্রায় 4,75,000 মেট্রিক টন।
অন্যদিকে কার্যত একই সময়ে ট্রান্সপোর্টারদের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পণ্য বহন করার খাতে ই-ওয়ে বিলগুলিও ৪৫ শতাংশ কমেছে। রাজ্যগুলির মধ্যে মূলত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণেই এই পারাপতন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে রাজ্যগুলি নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করার সাথে সাথেই সাথে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সারা দেশে পেট্রোলের ব্যবহার ২৭ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
শুধুমাত্র মার্চ মাসেই পেট্রোলের ব্যবহার কমে ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন।এপ্রিলে কমে ২৩ লক্ষ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন, মে মাসে কমে ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। এদিকে লকডাউনের পাশাপাশি জ্বালানির আগুন ঝরানো দামের কারণেও বিক্রি অনেকটা কমে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমনকী সাম্প্রতিক সময় মুম্বইতে প্রতি লিটার পেট্রোল ১০০ টাকার গণ্ডিও পার করে যায়। রাজধানী দিল্লিতে দাঁড়ায় ৯৫ টাকা।
কোভ্যাকসিন-কোভিশিল্ড দুটি ডোজের সুরক্ষাও ভাঙছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেন