নয়াদিল্লি: করোনাকালে (Corona) বিপদ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। গত ৩ সপ্তাহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। ছত্রাকজনিত একটি মারাত্মক সংক্রমণ হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ডায়াবেটিস (Diabetic) আক্রান্ত ও করোনামুক্ত হওয়ার পরেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
শিউরে ওঠার মতো খবর। দেশজুড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে (mucormycosis) মৃত্যুর হার ৫০%। গত তিন সপ্তাহে রাজ্যে-রাজ্যে এই ছত্রাকজনিত এই সংক্রমণ ১৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যা নিয়ে ঘোর উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৩১ হাজার ২১৬ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিন সপ্তাহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ২ হাজার ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদসংস্থা এনডিটিভি-র খবর অনুযায়ী, রাজ্যে-রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রয়োজনীয় ওষুধ Amphotericin-B-এর ঘাটতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধের ঘাটতি রোগী-মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই (Maharashtra) করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণেও দেশের মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত মারাঠাভূমে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৫৭। সেরাজ্যে ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতেও (Gujrat) চোখ রাঙাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
এখনও পর্যন্ত গুজরাতের ৫ হাজার ৪১৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের। রাজস্থানে (Rajasthan) বাড়ছে মিউকরমাইকোসিসের দাপট। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে ২ হাজার ৯৭৬ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৫ মে মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৭৭০।
গুজরাতে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৫৯। মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে-রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ছত্তীসগড়ে (Chattisgarh) ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার ছত্তীসগড়ে নতুন করে ২৭৬ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.