কোথায় সমস্যা হতে পারে?
রিপোর্টে বলা হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের জন্য সমস্ত দরজা একযোগে খুলে দিলে সমস্যা। তাতে ভ্যাকসিনের কমতি যেমন একটি বিষয় হবে, তেমনই করোনা ছড়িয় পড়তেও পরিবেশ সহায়ক হয়ে উঠবে। ভ্যাকসিনেশন যদি অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাহলে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেইন চোখ রাঙাতে শুরু করবে। হুহু করে ছাড়বে করোনা সংক্রমণ।
সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন একটি ধারালো অস্ত্র করোনার বিরুদ্ধে। এই অস্ত্রকে নীতিহীনভাবে ব্যবহার করা যাবে না। একে নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজিতে ব্যবহার করতে হবে। রিপোর্ট বলছে করোনার দ্বিতীয় স্রোতের মধ্যে ভ্যাকসিনের কমতির মধ্যে রয়েছে দেশ। ফলে এই মুহূর্তে মৃত্যুকে রোখা সবচেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে ।
ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে বার্তা
সাফ ভাষায় রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া খুব একটা কার্যকরী সিদ্ধান্ত নয়। বারবার স্থানীয়স্তরে সিরো সার্ভে এর জন্য প্রয়োজন। সেই সমীক্ষা থেকে জেলাস্তরের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেখানে কারা করোনা কাটিয়ে উঠেও ফের আক্রান্ত হচ্ছেন তার দিকেও ফোকাস রাখার বার্তা দিয়েছে রিপোর্ট। করোনাজয়ীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
টেস্টিং আরও বাড়াতে হবে
করোনার দ্বিতীয় স্রোত ঘিরে বিধ্বস্ত দেশে টেস্টিং নিয়ে বহু তথ্য উঠতে শুরু করেছে। সেই জায়গা থেকে রিপোর্ট বলছে গ্রাম্য ও মফঃস্বল এলাকা থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ বাড়িয়ে আরও টেস্টিং করতে হবে। বহু সত্যিকারের পজিটিভ কেস মাঝে সাঝেই অধরা থেকে যাচ্ছে। যার জেরে ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা। এক্ষেত্রে সিন্ড্রোমিক ম্যানেজমেন্টের ওপরজোর দেওয়ার কথা বলেছে রিপোর্ট।
সামঞ্জস্যের প্রয়োজন
রিপোর্টে বলা হচ্ছে কোভিড পজিটিভদের ভ্যাকসিনেশন সম্পর্কীয় যাবতীয় তথ্য যেন অবশ্যই আরটিপিসিআর অ্যাপে সংঘবদ্ধ থাকে। যাতে করোনাজয়ী কারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন ,তা জানা যায়। এত স্থানীয়স্তরের সমীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।