বিতর্কের ঝড় অসমের রাজ্য-রাজনীতিতে
মুখ্যমন্ত্রিত্বের সবে একমাস পূর্ণ হওয়ার পর গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বক্তব্য পেশ করলেন তিনি। জবরদখল নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তরেই মুসলিম শরণার্থীদের প্রতি এই বার্তা দেন হিমন্ত। এদিকে মধ্য এবং নিম্ন অসমে বাঙালি ভাষাভাষী মুসলিমদের বাস, যাঁদের বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থী হিসেবে মনে করা হয়। অসমের ৩.১২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশই এই শরণার্থী মুসলিমরা।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন হিমন্ত ?
হিমন্তের দাবি দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতেই হবে। অন্যথায় আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই। দারিদ্রতা, অশিক্ষা ও উপযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা না থাকার কারণেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মত তাঁর। এজন্য সরকারের তরফে মহিলাদের আরও বেশি করে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়, এমনটাই মত হিমন্তর।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতেই মাঠে বিজেপি ?
এদিকে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি-র অন্যতম ইস্যু ছিল অসমের আদি জনজাতির সুরক্ষা। ভোটে জিতে ফের সেদিকেই নজর দিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। হিমন্তর বক্তব্যের সূত্র ধরে এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে অসমের ১২৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে অন্তত ৩৫টিতে সংঘ্যালঘু ভোটও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে হিমন্তর এই বক্তব্য রাজ্য-রাজনীতিতে যে ঝড় তুলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সমস্ত জবরদখলকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদেরই উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি
এদিকে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শুরু থেকেই কার্যত আক্রমণের মেজাজেই ছিলেন হিমন্ত। ঢোলপুর এলাকাতে যে শিবমন্দির আছে, সেই মন্দিরের প্রায় ১২০ বিঘা জমির জায়গা অনুপ্রবেশকারীরা জবরদখল করে নিয়েছিল বলে জানান তিনি। পুলিশের সাহায্য নেই সেই সমস্ত জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামীতে পুরো রাজ্য থেকেই সমস্ত জবরদখলকারী এবং অনুপ্রবেশকারী উচ্ছেদ করারও হুঁশিয়ারি এদিন দিতে দেখা গেল তাঁকে।
জি৭ বৈঠকের হাত ধরে কাটতে পারে আশঙ্কার মেঘ, ১০০ কোটি টিকার আশায় বুক বাঁধছে দরিদ্রদেশগুলি