ওয়াশিংটন: আমেরিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী ভারতীয়রা। এর মধ্যে যেমন অনেকে কাজের খাতিরে ভারত থেকে গিয়েছেন, তেমন অনেক ভারতীয় রয়েছেন যাঁরা কয়েকপুরুষ ধরে আমেরিকারই অধিবাসী। অথচ তাদেরই বৈষম্যের শিকার হতে হয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন বংশোদ্ভূত ভারতীয় বা ইন্দো-আমেরিকানদের (Indian-Americans) প্রায় নিয়মিত বৈষম্য এবং মেরুকরণের মুখোমুখি হতে হয়।

‘Social Realities of Indian Americans: Results from the 2020 Indian American Attitudes Survey’ নামে সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে সম্প্রতি। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে এই ভয়াবহ তথ্য। এই সমীক্ষাটি কার্নেজি এন্ডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস (Carnegie Endowment for International Peace), জন হপকিন্স-এসআইএস (Johns Hopkins-SAIS) এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Pennsylvania) যৌথ উদ্যোগে সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমায় ১ হাজার ২০০ ইন্দো-আমেরিকানের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়। এটি ছিল একটি অনলাইন সার্ভে। এই সমীক্ষার পার্টনার ছিল YouGov । রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইন্দো-আমেরিকানরা প্রায় সময়ই বৈষম্যের শিকার হন। গত এক বছরে ২ জন ইন্দো-আমেরিকানের মধ্যে একজন বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। ত্বকের রংয়ের কারণেই তাঁদের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভারতীয় বংশে যাঁরা জন্মেছেন তাঁদেরই বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

গবেষণা অনুসারে ইন্দো-আমেরিকানরা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্য়ে বিয়ে করতে পছন্দ করেন। ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিয়ে করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইন্দো-আমেরিকানরা ভারতীয়স আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা ভারতীয়দেরই বিয়ে করেন। সমীক্ষায় এও প্রকাশ যে সংস্কৃতির জন্যই এই পদক্ষেপ নেন ইন্দো-আমেরিকানরা। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ইন্দো-আমেরিকানদের কাছে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমীক্ষায় যাঁরা উত্তর দিয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে ৪০ শতাংশ দিনে অন্তত একবার প্রার্থনা করেন এবং ২৭ শতাংশ কমপক্ষে সপ্তাহে একবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। যাঁরা হিন্দু তাঁদের মধ্য়ে প্রায় অর্ধেক নিদেজের একটি আলাদা গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হতে পছন্দ করেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.