কলকাতাঃ টলিউড জুড়ে এখন কেবল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) বিবাহ জল্পনাই চলছে। ২০১৯ সালে সুদূর তরস্কে (Turkey) পাড়ি দিয়ে স্বামী নিখিলের সঙ্গে বিয়েটাকে বেমালুম অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তাদের বিবাহকে সহবাসের আওতায় এনে ফেলতেও ছাড়েননি তিনি। একাধিক জলঘোলা হওয়ার পর অবশেষে স্বামী নিখিল জৈন (Nikhil Jain) মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে। স্ত্রী নুসরত সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন নিখিল।

আজ বৃহস্পতিবার নুসরত স্বামী নিখিল একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল সাইটে। সেখানে তিনি বলেছেন, বিয়ের আগে থেকেই নুসরতের উপর মোটা অংকের বাড়ির লোন (Home loan) ছিল। বিয়ের পর নুসরতের উপর থেকে ঋণের বোঝা কমানোর জন্যেই সেই লোনের অর্থ নিখিল নিজের পারিবারিক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ত্রী নুসরতের অ্যাকাউন্টে পাঠায়।

নুসরত সেই অর্থ কিছুটা শোধ করে দিলেও, বেশ অনেক্ষানি অর্থ তিনি এখনও পান নুসরতের থেকে। তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলেই সবটা প্রমান হয়ে যাবে। নিখিল দুঃখ করে বলেছেন, তার পরিবার নুসরতকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবেসেছিল। কিন্তু পরিবর্তে কিছুই ফেরত পায়নি।

নিখিলের কথায় ২০১৯ সালে তিনি বিয়ের জন্যে প্রপোজ করেন নুসরতকে। তারপরেই তারা উড়ে যান তুরস্কে। সেখানে জমকাল বিয়ে সেরে কলকাতায় ফেরেন। বিয়ের পর আর পাঁচ জন দম্পতির মতো তারাও সমাজের নিজেদের বিবাহিত হিসাবেই পরিচয় দিতেন।

স্বামীর কোন দায়িত্ব থেকে কখনও পিছু হটেননি তিনি। নুসরতকে কয়েকবার বলেছেন, আইনি মতে বিয়েকে স্বীকৃত দিতে। কিন্তু সেই প্রস্তাব সে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে। হঠাৎই ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে একটি ছবির শুট চলাকালীন নুসরতের ব্যবহারে অনেক বদল লক্ষ্য করেন তিনি। নভেম্বরের ৫ তারিখে নিজের সব জিনিস পত্র, ডকুমেন্টস নিয়ে নিখিলের বাড়ি ছেড়ে নুসরত নিজের বালিগঞ্জের বাড়িতে ওঠেন। সেদিনের পর থেকে তারা আর কখনও একসঙ্গে থাকেননি।

নিখিল জানান, এরপরে ৮ই মার্চ ২০২১-এ তিনি নুসরতের নামে আলিপুর কোর্টে (Alipore Court) দেওয়ানি মামলা (Civil Suit) দায়ের করেন।

বিবৃতির শেষে তিনি, মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন, তার ব্যক্তিগত জীবন এবং আইনি ব্যবস্থাকে বিবেচনা করে মিডিয়া এই বিষয়ে যেন কোন মন্তব্য না করে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.