সেন্ট জোন্স: পলাতক হীরক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) নিষিদ্ধ প্রবাসী (prohibited immigrant) ঘোষণা করল ডমিনিকা (Dominica)। সেই দেশের সরকার বৃহস্পতিবার এই ঘোষণার পর ভারতের তরফে চোকসির বিরুদ্ধে মামলা আরও শক্তিশালী হতে চলেছে।

জাতীয় সুরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Ministry of National Security and Home Affairs) তরফে একটি অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। সেখানে, ২০১৭ সালের কমনওয়েলথ অফ ডমিনিকার (Commonwealth of Dominica) সংশোধিত আইনের Immigration and Passport Act-এর ১৮:০১ চ্যাপ্টারের সেকশন 5(1)(f) অনুসারে মেহুল চিনুভাই চোকসিকে নিষিদ্ধ প্রবাসী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই কারণে চোকসিকে ডোমিনিকার কমনওয়েলথে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অর্ডারে বলা হয়। পাশাপাশি এও বলা হয় তাকে প্রত্যার্পণের জন্য পুলিশকে যাবতীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ডমিনিকান কর্তৃপক্ষের আদালতে যে তথ্য জমা দিয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে সরকারি আইনজীবী হাই কোর্টে মেহুল চোকসির আবেদন নাকচ করে। সেই সঙ্গে তাকে ভারতে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানানো হয়।

সম্প্রতি ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কেরিট (Prime Minister Roosevelt Skerrit)। পলাতক ওই হীরক ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তিনি আরও বলেছেন, বিচারের অপেক্ষায় থাকায় সরকার মেহুল চোকসির অধিকার যাতে রক্ষা হয় সেদিকে নজর রাখবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই ভারতীয় নাগরিকের বিষয়টি আদালতের হাতে। আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে তার কী হবে। আমরা আদালতের প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তা দেখব। তার অধিকারের প্রতি সম্মান রেখেই সবকিছু করা হবে। এখনও পর্যন্ত তাই করা হয়েছে। অ্যান্টিগায় (Antigua) বা ভারতে (India) তার সঙ্গে কী হয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। একটি সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলি আমরা পালন করব।”

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এবং ডমিনিকার চোকসিকে নিষিদ্ধ প্রবাসী হিসেবে ঘোষণা করার পর তার ভারতে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.