কলকাতা: মরণোত্তর অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের (Brojo Roy) প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি (Autopsy) রিপোর্ট জমা পড়ল স্বাস্থ্য ভবনে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনায় ফুসফুস (Lungs) ও কিডনি (Kidney) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ব্রজ রায়ের। ফুসফুসের আস্তরণটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই করোনায় (Corona) বেশিমাত্রায় কাবু হলে রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রজ রায়। রাজ্যের মরণোত্তর অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ভর্তি ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। গত ১৩ মে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ইচ্ছানুসারে তাঁর নিথর দেহের ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মানব শরীরের কোন কোন অঙ্গে ক্ষতি হয় এবং কী মাত্রায় ক্ষতি হয় তা জানতে ব্রজ রায়ের দেহের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি করা হয়েছিল।
বুধবার সেই অটোপসি রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনে (Sasthya Bhavan)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনায় ফুসফুস ও কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ব্রজ রায়ের। ফুসফুসের আস্তরণটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই করোনায় বেশিমাত্রায় কাবু হলে রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। এরই পাশাপাশি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে করোনা রোগীদের অন্য অঙ্গগুলিও বিকল হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। ব্রজ রায়ের অটোপসি রিপোর্ট সামনে আসতে এমনই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রথম রাজ্যে করোনায় মৃত ব্যক্তির প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। বেঁচে থাকতে মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে তাঁর আন্দোলন গোটা সমাজ মনে রাখে। অদম্য জেদকে সঙ্গী করে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন অনেককে।
মৃত্যুর পরেও নজির রেখে গেলেন ব্রজ রায়। করোনা নিয়ে গবেষণার কাজে নিজের দেহ দান করে গিয়েছিলেন। মারণ এই ভাইরাস কীভাবে মানব শরীরের ক্ষতি করে তা আরও ভালোভাবে জানা উচিত চিকিৎসকদের। এমনই চেয়েছিলেন ব্রজ রায়। তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই মৃত্যুর পর ব্রজ রায়ের দেহের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি করা হয়। আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.