কী বলেছেন যুবরাজ
এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সিং জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছিল ভারত। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন যুবি। তাঁর কথায়, ওই বিশ্বকাপের পরে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়া। এরপর ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ডে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন যুবরাজ। বক্তব্য, টানা সফরের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া টি২০ বিশ্বকাপে অংশ নিতে চাননি টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র ক্রিকেটেররা। আসলে সেই সময় ওই বিশ্বকাপকে কেউ গম্ভীরভাবে নেয়নি বলেও দাবি করেছেন যুবি। ফলে তিনি সেই দলের নেতা হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে চেয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে ওই টি২০ বিশ্বকাপের জন্য এমএস ধোনিকে নেতা নির্বাচন করা হয়েছিল।
টিমম্যান হিসেবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন
অধিনায়ক না হতে পেরে খানিক হতাশা যে হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন যুবরাজ সিং। তবে টিমম্যান হওয়ার খাতিরে তিনি ওই টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন যুবি। তাঁর কথায়, নেতা যাকেই নির্বাচন করা হোক, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হওয়াটাই শেষ কথা।
টি২০ বিশ্বকাপে যুবির পারফরম্যান্স
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া টি২০ বিশ্বকাপে ৬টি ম্যাচ খেলে ১৪৮ রান করেছিলেন যুবরাজ সিং। দুটি অর্ধশতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। টুর্নামেন্টে ৯টি চার ও ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন যুবি। ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকানোর অনন্য নজির গড়েছিলেন যুবরাজ সিং।
ইতিহাস গড়েছিল ভারত
এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন যুব ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ওই টি২০ বিশ্বকাপে গুরুত্ব দেয়নি কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। উল্টে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো তারকাখচিত দলগুলি ওই টুর্নামেন্টের ফেভারিট ধরা হয়েছিল। সেই ধারণায় জল ঢেলে দিয়েছিল ওই তরুণ টিম ইন্ডিয়া। একের পর এক বড় ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছিল এমএস ধোনির ভারত। ফাইনাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ২০ ওভারের বিশ্বকাপের গায়ে নিজেদের নাম খোদাই করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন এমএস ধোনি, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেহওয়াগরা। এখন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন অধ্যায়ও রচনা হয়েছিল। কিংবদন্তি এমএস ধোনির নেতৃত্বে যা পূর্ণতা পেয়েছিল ২০১১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।