বালুরঘাট : বিজেপির মন্ডল সম্পাদিকা ও স্বর্ণ পদক জয়ী মেয়েকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হল গঙ্গারামপুরে। মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলে শাসক দলের বলে অভিযোগ।

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক এই হিংসায় শুধু গঙ্গারামপুরে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনায় তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবার। অন্যদিকে অভিযুক্তদের তরফেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এটি কোনওভাবেই রাজনৈতিক ঘটনা নয় বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় মন্ডল সম্পাদিকা চন্দনা পাল রাজবংশী ও তাঁর মেয়ে কেয়া রাজবংশীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলের নেতৃত্বে দলীয় লোকজন স্বর্ণ পদক জয়ী সাইকিলিস্ট কেয়া রাজবংশী ও তাঁর মা চন্দনা পাল রাজবংশীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে প্রথমে তাঁদের ডেকে নেওয়া হয়। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবজানি দত্তর নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা দুইজনকে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ। ভিডিও পোস্ট এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর লোকেরা শহর মন্ডলের দলীয় সম্পাদিকা চন্দনা রাজবংশী ও তাঁর মেয়েকে মারধর করছে।

চন্দনা পাল রাজবংশী বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আক্রান্তের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ গঙ্গারামপুর থানায় দায়ের করা হয়েছে।

বালুরঘাটের সংসদ বিজেপির ডঃ সুকান্ত মজুমদার গঙ্গারামপুরের এই ঘটনাটি ভোট-পরবর্তী হিংসা বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন যেহেতু গঙ্গারামপুর বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছে। সেই কারণে ভোট-পরবর্তী হিংসায় তৃণমূলের লোকেরা বিজেপির লোকেদের বাড়ি ঘর ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি মারধোর চালাচ্ছে। ভোট-পরবর্তী এই হিংসা যে এখনো অব্যাহত রয়েছে তারই প্রমাণ ৯ নং ওয়ার্ডের এই ঘটনা বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

এব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বিজেপির করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন বিধানসভা নির্বাচনে প্রমান হয়ে গিয়েছে যে বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের কোন সমর্থন নেই। আর এটা বুঝতে পেরেই যেকোনো কারণে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগের পথ বেছে নিয়েছেন বিজেপির নেতারা। গঙ্গারামপুরের ঘটনাটি পুরোপুরি স্থানীয় স্তরের বিবাদ। এর সাথে রাজনীতির কোন যোগাযোগ নেই বলেও তিনি দাবী করেছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.