নয়াদিল্লি: সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচি চালানো হোক। এমনই দিল অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry)। মন্ত্রক আগামী কয়েক মাস সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালানোর প্রস্তাব দেয়। তার সঙ্গেই আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়।

পাশাপাশি অর্থমন্ত্রকের (Finance Ministry) মতে, আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে টিকা উৎপাদনের ঘাটতি মিটে যাবে। সেই সময়ই ২৪X৭ টিকাকরণ চালানো যেতেই পারে। মূলত ডিসেম্বর মাসকেই কেন্দ্র টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে বেছে নিয়েছে। এবার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি মানুষের টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণে এমন কর্মসূচির পরামর্শ দেয় অর্থমন্ত্রক।

বুধবার অর্থমন্ত্রকের (Finance Ministry) তরফে যে মাসিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট পেশ করা হয় তাতেই বলা হয়, “যদি আর্থিক মন্দা কাটাতে হয় তাহলে টিকাকরণে গতি আনতে হবে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭০ কোটি জনগণকে টিকা দিতেই হবে। যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১১৩ কোটি ডোজ।”

মন্ত্রকের তরফে নির্দিষ্ট করে এও বলা হয় যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে গেলে প্রতিদিন ৯৩ লাখ টিকা দিতেই হবে।

অর্থমন্ত্রকের (Finance Ministry) রিপোর্টে জানানো হয় যে, করোনার (covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে উৎপাদন ও নির্মাণ শিল্পে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে। কারণ এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে অধিকাংশ রাজ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। খুলছে শিল্প প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা। আর এর একমাত্র কারণ সম্প্রতি দেশে সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী। তাই অর্থমন্ত্রকের আশা এর ফলে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতে এখন জোরদার তৎপরতার সঙ্গে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে এবার ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও দ্রুততা আনতে QUAD-এর মঞ্চকে ব্যবহার করছে ভারত। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে কোয়াড (Quad)-এর অন্তর্ভুক্ত জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।

জানা গিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত ও জাপানের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরই পাশাপাশি জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। তবে ভ্যাকসিন তৈরির যাবতীয় উদ্যোগই হবে কোয়াডের অধীনে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.