স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: নিউটাউন এনকাউন্টারে (Newtown Gangster Shootout) নিহত দুই গ্যাংস্টার জসসি খাড়ার এবং জয়পাল ভুল্লার পাকিস্তান যোগ মিলল। ভুল্লারদের (Jaipal Singh Bhullar) ফ্ল্যাটের আলমারি থেকে মিলেছে পাকিস্তানের কাপড়ের দোকানের একটি প্যাকেট। তাতে উর্দুতে লেখা রয়েছে। তা থেকেই পাকিস্তান যোগের সম্ভাবনা জোড়ালো হচ্ছে।  উদ্ধার হয়েছে ‘মেড ইন পাকিস্তান’ লেখা রিভলবার। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক আরও অস্ত্র।

এদিকে, জয়পাল ভুল্লারের পাকযোগ ছিল বলেই জানিয়েছে পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি।  ড্রাগ ব়্যাকেট চালানোয় পাকিস্তানের সঙ্গে তার যোগ ছিল। ফলে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তানের ব্যাগ উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, জয়পাল ভুল্লার নিজে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন? নাকি পাকিস্তান থেকে কেউ এসে তাঁর কাছে এই ব্যাগ পৌঁছে দিয়েছিল? ব্যাগে করে কি মাদক বা অস্ত্র পাচার হত? ২০১৪ সাল থেকেই কার্যত ফেরার ছিল জয়পাল সিং ভল্লার।

আরও পড়ুন: হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে কড়া হয়েও আধুনিক ইসলামি কেন্দ্র উদ্বোধনে শেখ হাসিনা

বুধবার নিউটাউনের সাপুরজি এলাকায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ টিমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় একদল গ্যাংস্টার। পালটা এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় দুই দুষ্কৃতীর। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যা তথ্য এসেছে তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো৷ জানা গিয়েছে,  জয়পাল ভুল্লারের বাবা ছিলেন পঞ্জাবের পুলিশের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। জয়পাল নিজে ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। পঞ্জাবের লুধিয়ানায় সরকারি স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টার স্পিড ফান্ড অ্যাকাডেমির প্রতিভাবান ছাত্র ছিল জয়পাল। ওই অ্যাকাডেমিতেই জয়পালের পরিচয় হয় আরও এক খেলোয়াড় হ্যাপির সঙ্গে। হ্যাপি অল্প সময়ের জন্য অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখান থেকেই তাদের ঘনিষ্ঠতা শুরু। এরপর একাধিক খুন, ডাকাতি, তোলাবাজিতে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার জয়পাল। পাতিয়ালায় একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতিতেও নাম জড়ায় জয়পালের। আরও একটি ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কেজি সোনা লুঠের অভিযোগ ছিল তার নামে।

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ভাটিন্দায় খুন হয় জয়পাল ভুল্লারের বন্ধু শের খুব্বা। বদলা নিতে হিমাচল প্রদেশে গিয়ে একজনকে খুন করে জয়পাল। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশিরভাগ মামলাতেই প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল জয়পাল এবং সঙ্গীরা। পঞ্জাবের এই দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে সে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় খুন, অপহরণ, অস্ত্র পাচারের মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেই খবর৷  চলতি বছরের ১৫ মে লুধিয়ানায় অস্ত্র ছিনতাই করে ২ পুলিশকর্মীকে খুন করে বাংলায় পালিয়ে আসে এনকাউন্টারে নিহত ২ দুষ্কৃতী। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জয়পাল ও তার তিন শাগরেদের মাথায় দাম ঘোষণা করা হয় ১৯ লক্ষ টাকা।  শুধু জয়পাল ভুল্লারেরই মাথার দাম পুলিশ ঘোষণা করে ১০ লক্ষ টাকা।

এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তাহ দু’য়েক ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু খুব বেশি বাইরে বেরোত না তারা। এমনকী ফ্ল্যাটের জানলাও বেশিরভাগ সময়ই থাকত বন্ধ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.