প্যারিস: ফরাসি ওপেন(French Open) ফাইনালের মজা এবার দেখা যাবে সেমিফাইনালে৷ রোলাঁ গারোয় শেষ চারে মুখোমুখি লাল সুড়কির সম্রাট রাফায়েল নাদাল(Rafa Nadal) ও বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)৷ বুধবার আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাফা। আর বেশি রাতে ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনিকে(Matteo Berrettini) হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছন জোকার।

যে উন্মাদনা সাধারণত ফরাসি ওপেনের ফাইনালে দেখা যা, এবার তা দেখা যেতে পারে সেমিফাইনালে(semi-final)৷ জকোভিচের শেষ চারে ওঠার লড়াইটা খুব সহজ ছিল না। চার সেটের লড়াইয়ে শেষ হাসি অবশ্য হাসেন সার্বিয়ান তারকা। প্রথম দু’টি সেটে জকোভিচ (Djokovic) সহজ জয় পেলেও, তৃতীয় এবং চতুর্থ সেটে বেরেত্তিনি ঘুরে দাঁড়ান। সমানে সমানে টক্কর দেন ইতালিয়ান খেলোয়াড়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বেরেত্তিনিকে ৬-৩, ৬-২, ৬-৭ (৫-৭), ৭-৫ হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছন জোকার৷ তবে তৃতীয় সেটে ম্যাচ পয়েন্ট পাওয়ার পর জকোভিচের(Djokovic) সেলিব্রেশন ছিল দেখার মতো। বিস্ফারিত নয়নে, বুকে চাপড় মেরে, চিল্লিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জোকার।

সেমিফাইনালে উঠে জকোভিচ যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন লাল সুড়কির কোর্টে নাদালের বিরুদ্ধে লড়াই একে বারেই আলাদা। ১৩ বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন নাদাল (Nadal)। বরাবরই এই প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে থাকেন এই স্প্যানিশ টেনিস তারকা। যে কারণে তাঁকে বলা হয় লাল সুড়কির সম্রাট৷ আর ২০১৬ সালে একবার ফরাসি ওপেন জেতেন জকোভিচ। বিশ্বের এক নম্বর তারকা বলেন, ‘আর পাঁচটা ম্যাচের থেকে এই ম্যাচ আলাদা। সুরকির কোর্টে নাদালের (Nadal) বিরুদ্ধে খেলা সবচেয়ে কঠিন। এই কোর্টে অত্যন্ত সফল৷ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের শেষলগ্নে এসে এই লড়াই তাই আরও কঠিন। একে অপরের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছি বাড়তি উত্তেজনা কাজ করেছে। ওর বিরুদ্ধে এতবার খেলতে পেরে আমি আপ্লুত।’

এখনও পর্যন্ত ৫৭ বার মুখোমুখি হয়েছেন নাদাল ও জকোভিচ (Djokovic-Nadal)৷ ২৯-২৮ ফলে এগিয়ে আছেন সার্বিয়ার টেনিস তারকা। তবে ফরাসি ওপেনে ফলাফল উলটো৷ এখনও পর্যন্ত ৮ বারের সাক্ষাতে ৭ বার জিতেছেন রাফা। এ বারের ফরাসি ওপেনের এক নম্বর বাছাই জকোভিচ যদিও তাতে চিন্তিত নন। তিনি বলেন, ‘শেষ কিছু সপ্তাহ ধরে সুড়কির কোর্টে যেভাবে খেলছি তাতে আমি খুশি। নাদালের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.