দিনে দুপুরে নিউটাউনের বুকে শ্যুট আউট। এসটিএফ এবং দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই। আর এই গুলির লড়াইয়ে দুই 'মোস্ট ওয়াটেন্ড' দুষ্কৃতী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
আবাসনের মধ্যে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে আতঙ্কের পরিবেশ। এই ঘটনার পরেই সিল করে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা।
মনে করা হচ্ছে ওই আবাসনে একাধিক দুস্কৃতী লুকিয়ে থাকতে পারে। ফলে কাউকে ঢুকতে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না আপাতত। শুধু তাই এই ঘটনার পরেই কলকাতা এবং নিউ টাউনের নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ যৌথবাহিনী বহুতল আবাসনের বি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে অভিযান চালায় স্পেশাল টিম। বেশ কিছু সূত্রে ধরে পুলিশের কাছে খবর আসে যে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে বসে।
তারা হরিয়ানা কিংবা পাঞ্জাবের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে খবর। পুলিশ কর্মীরা আবাসনে ঢুকতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। দুষ্কৃতীতে ছোঁড়া গুলিতে প্রথমেই গুলিবিদ্ধ হন এক পুলিশ আধিকারিক। পালটা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে।
জানা যাচ্ছে, এসটিএফের ছোঁড়া গুলিতে দুজন কুখ্যাত দুস্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন জয়পাল সিং গুল্লার বলে জানা যাচ্ছে।
সুত্রের খবর, ওই দুই দুষ্কৃতী পাঞ্জাবের মাফিয়া। বেআইনি অস্ত্র কারবার থেকে শুরু করে একাধিক বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত সে। পঞ্জাব পুলিশের খাতায় পলাতক।
ইতিমধ্যে পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এসটিএফের তরফে। কি কারণে দিনের পর দিন ওই কুখ্যাত দুস্কৃতি ওই আবাসনে লুকিয়ে ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।