শেষ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বিজেপি৷ কিন্তু আশা ছিল মসনদের! তাই এবার নতুন লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীতে আমূল পরিবর্তন আনছে বিজেপি৷ মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ ৯ জন সাধারণ সচিবের সঙ্গে শেষ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেছেন শাহ৷ বিজেপি সূত্রের খবর আজকের শুভেন্দু-শাহ বৈঠকের পরই বড়সড় রদবদল হতে চলেছে বঙ্গ-বিজেপিতে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বঙ্গ-বিজেপি নেতার বক্তব্য, ঢেলে সাজানো হতে পারে বিজেপি রাজ্য কমিটি৷ যেখানে অনেক বড় নাম যেমন বাদ যেতে পারে ঠিক তেমনই জ্যোর্তিময় সিং মাহাত-র মতো জনপ্রিয় নেতারা উঠে আসবেন গুরুত্বপূর্ণ পদে৷ পাশপাশি শেষ কয়েক বছরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন যে সমস্ত নেতারা তাঁদের মধ্যে অনেকেই জায়গা পেতে পারেন রাজ্য কমিটিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক বিজেপি নেতার কথায়, 'আর সাদা হাতি পুষতে চাইছে না দল।' অর্থাৎ যারা বড় নাম কিন্তু সংগঠনে ও দলের বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা নেয় তাদের পদ এবার যেতে পারে৷ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে সব নেতাদের সামনের সারিতে আনতে চাইছে যাঁরা দৌড়াদৌড়ি করে বিজেপি সমর্থকদের আস্থা যোগাবেন।
ভোটের আগে দলে এসেছিলেন মোদী সরকারের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ী৷ এঁকে অনেকে বঙ্গ-বিজেপি মন্ত্রীসভার (বিজেপি বঙ্গে সরকার গড়লে) অর্থমন্ত্রী মুখ দাবি করেছেন। বালুরঘাট থেকে ভোটে জিতে বিধানসভায় এসেছে অশোকবাবু৷ বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধান করা হতে পারে অশোক লাহিড়ীকে।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে দু'জন নেতাকে নিয়ে বিজেপি সমর্থকরাও কমবেশি উচ্ছ্বসিত তাঁর একজন যদি শুভেন্দু অধিকারী হন অন্যজন অবশ্যই নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি যুব মোর্চার দায়িত্ব পেতে পারেন নীতিশ৷ বঙ্গ-বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও উঠে আসছে নিশীথের নাম৷