লেভেল ইকুয়াল না হলে উত্তর নয়
এদিনও শুভেন্দু অধিকারীকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি ফের বলেছেন, লেভেল ইকুয়াল না হলে কোনও প্রশ্নের উত্তর নয়। দল ছাড়ার পরে তৃণমূলকে তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে আক্রমণ করেছিলেন। এবার তিনি বলছেন, তৃণমূল হল আঞ্চলিক দল। আর অভিষেকের কোনও কথার তিনি উত্তর দেবেন না। কেননা অভিষেক তাঁর লেভেলের নেতাই নন। তিনি মঙ্গলবার কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো কোনও নেতা যদি ২০০০ পুলিশ নিয়ে রাস্তায় বেরোয়, আর সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাঁর কথার উত্তর তিনি দেন না।
বিনয় মিশ্রকে কে সার্টিফিকেট দিল
এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে এখানকার কোন পুলিশ আধিকারিক সার্টিফিকেট দিলেন, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। কেননা সিবিআই ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, ওই তৃণমূল নেতা এখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। ২২ ডিসেম্বর তিনি দুবাইয়ের ভারতীয় দুতাবাসে ভারতের পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সিবিআই-এর তরফে জানানোর পরেই ভানুয়াতুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিদেশমন্ত্রক। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেতে গেলে সেই ব্যক্তিকে যেখানে বসবাস করেন, সেখানকার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে নিজের সম্পর্কে সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। বিনয় মিশ্র পশ্চিমবঙ্গের কোন পুলিশ আধিকারিক সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাঁর খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু নিশানায় তৃণমূল
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আলোচনায় রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথাও উঠে এসেছে। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা যন্ত্রণায় আছেন। বিজেপির কর্মীদের ওপর অত্যাচারকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করেছে। পাশাপাশি তৃণমূলকে তিনি নিউচনের তৃতীয় গতিসূত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ক্রিয়ারও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
এফআইআর নিয়ে পাল্টা
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরি কাণ্ডে এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রসঙ্গত তিনি মঙ্গলবারই বলেছিলেন, তাঁর এত দুর্ভাগ্য হয়নি, যে ত্রিপল চুরি করতে যাবেন। এদিন কার্যত সেই একই প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছেন, যে কেউ এফআইআর দায়ের করতেই পারেন। আইনি পথে জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও অসমে আটটি এফআইআর রয়েছে।