চেন্নাই: করোনার (Covid-19) জেরে গোটা দেশের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়। দিনের পর দিন করোনার গ্রাফ কখনও উঠছে তো কখনও নামছে। লক্ষ লক্ষ মানিষ প্রাণ হারিয়েছে এই মারণ ভাইরাসের জেরে। এর মধ্যেই আরো একটি খারাপ খবর এল।
মানুষের পাশাপাশি এবার অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) নীলগিরি জেলায় ২৮টি হাতি করোনা (Covid-19) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চেন্নাইয়ের মুদুমালাই টাইগার রিজার্ভের এই ঘটনায় রীতিমত শিউড়ে উঠেছে দেশবাসী। হাতিগুলি ছিল থেপ্পাকাডু এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে।
জানা যায়, প্রথমে ওই হাতিগুলির থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পশু চিকিৎসক রাজেশ কুমার। তারপর ৮ জুন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলির পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh)। যার রিপোর্ট চলে আসবে কয়েকদিনের মধ্যে। এই মুহূর্তে তাদের চিকিৎসাও চলছে।
আসলে এর আগে সিংহের শরীরেও করোনা (Covid-19) বাসা বেঁধেছিল। সিংহের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই হাতিগুলির করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী কে রামাচন্দ্রন।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা দেশে। তাহলে কি করোনার হাত থেকে কারোর মুক্তি নেই। প্রথম ঢেউয়ে (First wave) বয়স্করা যেমন আক্রান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ (second wave) বহু অল্পবয়স্ক থেকে মধ্যবয়স্কদেরও প্রাণ কেড়েছে। তুলনায় কম হলেও শিশুরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর এবার যা দেখা যাচ্ছে তাতে প্রাণীদের রেহাই নেই। করোনা (Covid-19) কি বন্যপ্রাণীদেরও ছাড়বে না!
এদিকে, ভ্যাকসিন (vaccine) তৈরিতে বেশ তৎপরতা দেখাচ্ছে ভারত। বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে এবার ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও দ্রুততা আনতে QUAD-এর মঞ্চকে ব্যবহার করছে ভারত। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে কোয়াড (Quad)-এর অন্তর্ভুক্ত জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।
‘Quadrilateral Security Dialogue’ বা QUAD। কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা। চারদেশীয় এই গোষ্ঠী নানা ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা থেকে শুরু করে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এবার এই কোয়াডের সদস্য দুই দেশ ভারত ও জাপান করোনার প্রতিষেধক তৈরি নিয়ে নয়া তৎপরতা নিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.