গত বছরই তীব্র টানাপোড়েন শেষে অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে যুদ্ধেকে না বলে ভারত-চিন। কিন্তু তারপর নতুন বছর ঘুরলেও এখনও কমছে না উদ্বেগ। সম্প্রতি এবার ফের পূর্ব লাদাখের উল্টোদিকে মহড়া দিতে দেখা গেল প্রায় ২ ডজন চিনা যুদ্ধবিমানকে৷ আর এই খবর চাউর হতেই ফের তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে সেনা মহলে।
সেনা সরাতে শুরু করে লালফৌজও। কথা রাখে ভারতও। ধীরে ধীরে ফিরতে থাকে স্থিতাবস্থা। কিন্তু এমতাবস্থায় সেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের বায়ুসেনা বায়ুসেনার অবাধ বিচরণ যে পরিস্থিতি ফের ঘোরালো করতে পারে সে কথা মেনে নিচ্ছেন সমর বিশেষজ্ঞরাও। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তের ওপারে অন্তত ২২টি চিনা যুদ্ধবিমান মহড়া চালায় বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, আধুনিকীকরণের পর হুটান, গারিগুনসা ও কাশগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে আকাশে পাড়ি দেয় এই চিনা যুদ্ধবিমানের দল। এদিকে গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে ভারতও। দেশের সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে কোনোভাবেই আপষ করা হবে বলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় সেনা কর্তারা। কিন্তু তারপরেও কমছে না উদ্বেগ।
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে গত বছর গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ ধাক্কা খেয়েছে চিন। এমনকী ভারতীয় সেনাও যে এতটা সীমান্ত সুরক্ষায় এতটা আগ্রাসী ভূমিকা নিতে পারে তা আঁচ করতে পারেনি চিনা সেনাকর্তাও। যদিও পরবর্তীতে কূটনৈতিক কৌশলেই স্থিতাবস্থা ফেরাতে সক্ষম হয় ভারত। কিন্তু তাতে যে চিনের আগ্রাসী মনোভাবকে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, তা তাদের ভারত মহাসাগরে ক্রমশ আগ্রাসী চেহারা থেকেই স্পষ্ট। এবার লাদাখে মহড়া চালিয়ে ভারত নতুন করে চাপে রাখতে চাইছে চিন, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।