অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক, জল্পনা মুকুলকে নিয়ে
মুকুলের সঙ্গে অনুগামীরা দেখা করতে আসেন, এটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তৃণমূলে থাকাকালীনও আসতেন জেলার নেতা-নেত্রীরা। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অনেকে। তবে ভোট পরবর্তী সময়ে এখন এই বৈঠকের মাত্রা আরও বেশি। আর কেুই বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাইছেন না।
মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা
কিছুদিন ধরে মুকুল রায়কে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা চলছে। বিশেষ করে শুভ্রাংশু ফেসবুক পোস্টে সমালোচনা বন্ধ করে আত্মসমালোচনার বার্তা দেওয়ার পর যে ঘটনা পরম্পরা দেখা গিয়েছে, তাতে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি আবার বৈঠকে যোগদান নিয়ে দিলীপ ও মুকুলের ভিন্নমত পোযণও বাড়িয়ে দিয়েছে জল্পনা।
মুকুল বিজেপি না ছাড়লেও, অনুগামীরা তৃণমূলে!
এরই মধ্যে অনুগামীদের নিয়ে মুকুলের বারেবারে বৈঠকে জল্পনার পারদ চড়েছে চরমে। শুধু বৈঠক করছেন করুন, সেইসঙ্গে তাঁর বিজেপির সঙ্গে দূরত্বও বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুকুল রায় এখনই বিজেপি না ছাড়লেও, তাঁর অনুগামীরা একে একে ফিরে যেতে পারেন তৃণমূলে।
মুকুল রায় বিজেপিতেই থাকবেন, বলছে ঘনিষ্ঠমহল
মুকুল রায় নিজে বা তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে দলবদলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায় বিজেপিতে স্বস্তিতে নেই ঠিক। কিন্তু তিনি এখন বিজেপি ছাড়ছেন না। দাদা বিজেপিতে ছিলেন, বিজেপিতেই থাকবেন। এখন মুকুল রায় বিজেপিক বিধায়ক। তাই তিনি দলবদল করবেন কেন!
মুকুল রায় বিজেপি ছাড়বেন না এখন, কারণ কী
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুকুল রায় বিজেপি ছাড়বেন না এখন। কারণ হল- তিনি যদি দলবদল করেন, তবে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ চলে যাবে। আর বিজেপি ছেড়ে গেলে ফের তাঁর উপর জাঁকিয়ে বসতে পারে সারদা-নারদ মামলার থাবা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গেলে ঝুঁকি হয়ে যাবে বিস্তর।
জোর করে জমি নেওয়ার বিরোধী আমি! টিকায়েতদের পাশে থেকে আন্দোলনকে সমর্থন মমতার
মুকুল যেতে চাইলেই কি তৃণমূল তাঁকে নেবে?
আর একটা প্রশ্ন থেকেই যয়া, মুকুল যেতে চাইলেই কি তৃণমূল তাঁকে নেবে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল পুরভোটের আগে কাউকে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী নন। কেননা বিধানসভা ভোটের আগে এঁদের ছাড়াই সাফল্য এসেছে। এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের ফিরিয়ে নিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।
প্রত্যাবর্তন তৃণমূলের নেতারা কেমনভাবে নেবে, দেখা দরকার
শুধু তাই নয়, ভোটে জেতার পর যাঁরা ফিরতে চাইছেন বা ফেরার আবেদন করছেন, তাঁরা শাসক দলের কাছ থেকে কিছু পেতে চাইছেন। নিদেনপক্ষে পুরভোটের টিকিটের আশাও অনেকে করবেন। তাই এ ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিতে চাইছে তৃণমূল। কেননা কারও প্রত্যাবর্তন তৃণমূলের নেতারা কেমনভাবে নেবে, সেটা সবার আগে দেখা দরকার।
মুকুল তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না!
তবে মুকুল রায় এই পর্যায়ে পড়েন না। আর তিনি ভোটের আগে দলবদলু নেতাও নন। তিনি সাড়ে তিন বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বিজেপির সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি। নিছকই তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে তিনি বিজেপির হাত ধরেছিলেন। আর রাজ্যস্তরে তাঁর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বনিবনা নেই সেই প্রথম থেকে। তবুও মুকুল তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না!