ইয়াসের থেকেও ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা! ভাসতে পারে শহরের নিচু জায়গাগুলি, খোলা হচ্ছে ত্রাণ শিবির

বাংলায় আঘাত না করলেও ইয়াসের ঝাপটাতে কার্যত বিধ্বস্ত বাংলা। সুন্দরবন, পাথরপ্রতিমা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক জায়গাতে ঝড়ের ঝাপটায় ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। আর এর ফলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। চারপাশ জুড়ে ভয়ঙ্কর ছবি। এই অবস্থায় ফের আসতে চলেছে বান! যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিকে তাকিয়েই প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শুধু ২৬ নয়, ১১ তারিখও আসছে বান। ২৬ তারিখের বান আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই রাজ্য প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইয়াসের থেকেও ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস হবে

মনে করা হচ্ছে, বানে ইয়াসের থেকেও ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস হবে। জানা যাচ্ছে, আগামী ১১ জুন গঙ্গায় আসতে চলেছে ভরা কোটালের বান। আর এই বান আসার কারণে গঙ্গার জলস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে শহর কলকাতার নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হতে পারে। পাশাপাশি যদি শহর কলকাতা জুড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয় এই সময়ে তাহলে জলমগ্ন পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই পুরসভার তরফে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

পুরসভায় তৎপরতা!

বানের জলে নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকে পড়তে পারে। আর ওই সময় যদি বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা। আর সেদিকে তাকিয়েই বাড়তি সতর্কতা পুরসভার তরফে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার সবকটি পাম্প হাউসে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শহর কলকাতার যে সমস্ত নীচু এলাকা রয়েছে, সেখানে ২০০ টিরও বেশি ভ্রাম্যমান হাই পাওয়ার পামসেট বসিয়ে জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি জলমগ্ন অবস্থার সৃষ্টি হলে যাতে ওই সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই ব্যাপারে পুর আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে জলবন্দি মানূষকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে।

একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কের প্রহর গুনছেন

১১ জুন অমাবস্যার ভরা কটাল। দুলকি, সোনাগাঁ, রাঙাবেলিয়া, আরামপুর, পাখিরালয়, কচুখালি, কুমিরমারি। একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। তাঁদের অভিযোগ, এখনও বহু জায়গায় নদীবাঁধ মেরামতি শেষ হয়নি। আবার বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে সর্বস্ব খোয়ানোর আশঙ্কা করছেন দুর্গতরা। নদী আর সাগরের তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের বহু এলাকার মাটির নদীবাঁধ। বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বাঁধ ছাপিয়ে নদীর নোনা জল ঢুকে এখনও প্লাবিত বহু এলাকা। এর মধ্যে ফের জল ঢোকা শুরু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা।

ফের বজ্রবিদ্যৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

গত কয়েকদিনে রাজ্যে বজ্রপাতে একের পর এক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বজ্রপাতে রাজ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালও রাজ্যে বাজ পড়ে মারা গিয়েছে। হাওয়া অফিস আজ ফের রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেো। কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলিতে আজ বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েেছ। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। চাপা অস্বস্তি থাকলেও বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

More CYCLONE News  

Read more about:
English summary
firhad hakim take action on bhora kotal