টিকা নীতিতে বদলের পরেই প্রায় ৪৪ কোটি করোনা টিকার নতুন অর্ডারও ইতিমধ্যেই দিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্ককে টিকাকরণের আওতায় আনারও লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। বর্তমানে সেখানে যে হারে টিকাকরণ চলছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বেশ খানিকটা দুষ্কর হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে ডিসেম্বরে মধ্যে লক্ষ্যমাত্রপূরণ করতে হলে বর্তমানে যোগী রাজ্যে যে হারে টিকাকরণ চলছে তা ৯ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পিছিয়ে নেই বিহার, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, অসমের মতো রাজ্যগুলিও। ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রপূরণ বিহারে বর্তমানের থেকে ৮ গুণ দ্রুত গতিতে টিকাকরণ সারতে হবে বলে মত।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু, ঝাড়খন্ড ও অসমের ক্ষেত্রে প্রায় ৭ গুন পর্যন্ত টিকাকরণে গতি বাড়াতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৪৩ দিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলেছে। দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টিকা ডোজ দেওয়া হচ্ছে গোটা দেশে। বছর শেষের আগে হাতে রয়েছে আরও ২০৭ দিন। আর তারমধ্যে ভারতের ১৮ উর্ধ সকলকে টিকাকরণের আওতায় লক্ষ্যমাত্রা মেনে কী করে আনা হবে তা ভেবেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন সকলে।
জনসংখ্যার নিরিখেই ভ্যাকসিন বণ্টন, টিকা অপচয়েও রাজ্যগুলিকে গুনতে হবে মাশুল! হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের
এদিকে জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে গোটা দেশে টিকাকরণ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছে ২৩ কোটির কাছাকাছি মানুষ। টিকার দুটি ডোজই পেয়েছে ৫ কোটিরও কম মানুষ। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে অন্যান্য রাজ্যের মতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলাও। গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন মাত্র ১৭.২ শতাংশ মানুষয টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন মাত্র ৫.৫ শতাংশ মানুষ।