চিকিৎসক সোমনাথ দাসের অধীনে অটোপসি
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে ব্রজ রায়কে ভর্তি করা হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিক হাসপাতালে। সেখানেই তিনি প্রয়াত হন ১৩ মে। এরপর আরজি কর হাসপাতালে তাঁর অটোপসি সম্পন্ন হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন, চিকিৎসক সোমনাথ দাস।
অটোপসিতে নতুন তথ্য
অটোপসিতে বেশ কিছু নতুন তথ্য সামনে এসেছে। ব্রজ রায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কিডনির অসুখে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর হৃদযন্ত্রেরও কিছু সমস্যা ছিল। অটোপসি রিপোর্টে দেখা গেছে কিডনিতে নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ফুসফুস ছাড়াও হৃদযন্ত্র এবং লিভারেও কিছু সমস্যা অটোপসিতে পাওয়া গেছে। অটোপসির রিপোর্ট অনুযায়ী এই সমস্যা করোনাভাইরাসের জন্যই।
বিশেষজ্ঞরা চূড়ান্ত মত দেবেন
তিনি যে সংস্থার সঙ্গে আমৃত্যু জড়িত ছিলেন সেই গণদর্পণ (মরণোত্তর দেহদান নিয়ে কাজ করে এই সংস্থা) তারা অবশ্য এব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করছে না। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অনেকেই বলছেন, শুধুমাত্র করোনা নয়, যে কোনও মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত জরুরি। তবে এই ময়নাতদন্তের পরে করোনা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন পথের সূচনা হল কলকাতা থেকে।
কারণ জানতে প্রয়োজন ময়নাতদন্তের
দেখা গিয়েছে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, দিন কয়েকের মধ্যেই অনেকেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রেও ময়নাতদন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু দেশ কেন সারা পৃথিবীতে করোনা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হলেও কোন আলোচনায় এই রোগকে মোকাবিলার জন্য যে ময়নাতদন্ত প্রয়োজন, তা জোর দিয়ে বলা হয়নি। কোনও অজানা রোগ বা করোনায় আক্রান্তে কিংবা অন্য কোনও বিশেষ কারণে মৃতের ময়নাতদন্তকে বাধ্যতামূলক করতে গণদর্পণের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।