নয়াদিল্লি: মানুষের মনে আশা জাগিয়েছিল মঙ্গলবারের করোনা (COVID-19) পরিসংখ্যান। কিন্তু বুধবার সেই সংখ্যা অল্প বাড়ল। যদিও ১ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেনি। এদিন সামান্য বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যও।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৬ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। সামান্য হলেও এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মঙ্গলবারের হিসাব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর বুধবারের রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখা গিল এদিন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১৯ জনের। আশা জাগিয়ে এদিন বেড়েছে সুস্থতার সংখ্য়াও। মঙ্গলবার ১ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। বুধবার সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৬৪ জন। সুস্থতার সংখ্যাও গতকালের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। তবে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার প্রায় এদিনও বেশি।
এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯০ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৯ জন। তবে কয়েকদিনের মতো এদিন কিন্তু দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা কমেনি। উলটে বেড়েছে। মঙ্গলবার অ্য়াক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্য়া ছিল ১২ লক্ষ ৩ হাজার ৭০২ জন। আর বুধবার সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪১৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪ হাজার ১২৬ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫২৮ জনের। মোট ২৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৬০ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে করোনার টিকা নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা মিললেও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করেই টিকা নিতে হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার এই টিকার প্রতি ডোজের দাম বেসরকারি হাসপাতালে পড়বে ৭৮০ টাকা। উল্টোদিকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজের দাম বেসরকারি হাসপাতালে পড়বে ১৪১০ টাকা। একইভাবে বেসরকারি হাসপাতেল রুশ টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’র (Sputnik v) দাম পড়বে ১,১৪৫ টাকা। ভ্যাকসিনের দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি যোগ হবে। টিকা দেওয়ার জন্য সার্ভিস চার্জ (Service Charge) হিসেবে ১৫০ টাকা নেওয়া হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.