নয়াদিল্লি: করোনার (Corona) বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা বিশ্ব। মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল টিকাকরণ (Vaccination) । করোনার রোষের হাত থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরির দৌড়ে তাবড় দেশ। ইতিমধ্যেই ভারত (India)-সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে জোরকদমে চলছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। ভারতেও জোরদার তৎপরতার সঙ্গে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে এবার ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও দ্রুততা আনতে QUAD-এর মঞ্চকে ব্যবহার করছে ভারত। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে কোয়াড (Quad)-এর অন্তর্ভুক্ত জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।

‘Quadrilateral Security Dialogue’ বা QUAD। কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা। চারদেশীয় এই গোষ্ঠী নানা ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা থেকে শুরু করে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এবার এই কোয়াডের সদস্য দুই দেশ ভারত ও জাপান করোনার প্রতিষেধক তৈরি নিয়ে নয়া তৎপরতা নিয়েছে।

জানা গিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত ও জাপানের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরই পাশাপাশি জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। তবে ভ্যাকসিন তৈরির যাবতীয় উদ্যোগই হবে কোয়াডের অধীনে।

জানা গিয়েছে, জাপানের আর্থিক সংস্থার সহায়তায় করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করবে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি। ভারত ও জাপান ছাড়াও মহতী এই উদ্যোগে সামিল থাকবে আমেরিকাও (America)। গোটা বিশ্বের মধ্যে অধিকমাত্রায় টিকা তৈরি হয় ভারতেই। সেই কারণেই সর্বপ্রথম ভারতই করেনাার ভ্যাকসিন তৈরির বাড়তি উদ্যোগ দেখায় কোয়াডের মঞ্চে। এমনিতেই করোনার টিকা তৈরিতে অনেকটাই সফলতার সঙ্গে এগোচ্ছে ভারত। এমনকী বহির্বিশ্বেও ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের চাহিদা বেশি। তাই করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারতের পরিকাঠামোর উপর ভরসা রাখছে কোয়াড।

এদিকে, ভারতের করোনাগ্রাফ নিম্নমুখী। এদিনও ১ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেনি দৈনিক সংক্রমণ। তবে এদিন সামান্য বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৬ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। সামান্য হলেও এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মঙ্গলবারের হিসাব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর বুধবারের রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখা গেল এদিন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১৯ জনের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.