কোভিড গ্রাফ নামলেও ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের কারণেই গোটা দেশজুড়ে কমছে না উদ্বেগ। করোনাকালে গোটা বিশ্বজুড়েই সর্বাধিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনার এই ভারতীয় স্ট্রেন। পুরনো স্ট্রেনের থেকে ৫০ শতাংশ অধিক সংক্রামক ও প্রাণঘাতী এই স্ট্রেন। গবেষণা বলছে, ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিছনে এই সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টই দায়ী। এমনকী টিকার সুরক্ষা বলয় ভেদ করে মানবদেহে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই মারণ স্ট্রেন।
এদিকে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ কার্যকরি নয় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এবার এই বিশষে আরও হতাশার কথা শোনাল দিল্লির এইমস ও ন্যাশান্যাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। সদ্য প্রকাশি তাদের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের ডোজ নেওয়া থাকলেও মানব শরীরে আক্রমণ শানাতে পারে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট।
এদিকে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এসএআরএস সিওভি২ জিনোমিক কনসোর্টিয়া ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট্রে বিষয়ে বিস্তর গবেষণা চলানো হয়। সেখানেও উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও নতুন ভারতীয় স্ট্রেনের আক্রমণ যে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বলয়ও ভাঙতে পারে, তা আগেই জানিয়েছিলেন হু বিজ্ঞানীরা।
রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার জেরে সঙ্কটে ৯২ দেশ, সিরামের পিছুটানে জুনের শেষেই ১৯ কোটি টিকার ঘাটতি?
গবেষকদের মতে বি.১.৬১৭ ও বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টগুলি বিশেষ অভিযোজনের মাধ্যমে সংক্রমণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি টিকাজনিত অ্যান্টিবডিকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম। যার ফলেই বাড়ছে ভয়। এদিকে ডেল্টা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে ব্রিটেনের পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রেট ব্রিটেনের মত দেশে ইতিমধ্যেই ডেল্টা বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে ভয়াবহ স্ট্রেনের তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও খবর। এমতাবস্থায় এইমসের নয়া গবেষনা যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাথে না।