করোনাকে বাগে আনতে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে টিকাকরণে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। চলতি বছরের শেষের মধ্যে দেশের প্রায় ৯৫ কোটি প্রাপ্ত বযষ্ককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে টিকাকরণ চলছে তাতে এই কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ গুণ দ্রুত টিকাকরণ করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশের মাত্র ৩.৩ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।
অনেকেই বলছে ৫ মাস টিকাকরণের পর যদি এই চিত্র হয়, তাহলে দেশের সকলের টিকাকরণ করতে তো কয়েক বছর লেগে যাবে। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ১০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। গুজরাতে পেয়েছে ৮.৮ শতাংশ মানুষ। কেরলে ৮.১ শতাংশ মানুষ। সব থেকে বেশি হতাশ করছে বিহার। সেখানে করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন মাত্র ২.৫ শতাংশ মানুষ।
এদিকে টিকা নীতিতে বদলের পরেই প্রায় ৪৪ কোটি করোনা টিকার নতুন অর্ডারও ইতিমধ্যেই দিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার।যদিও সে সবই হাতে আসার কথা ডিসেম্বরের মধ্যে। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ডিসেম্বরে মধ্যে লক্ষ্যমাত্রপূরণ করতে হলে বর্তমানে যোগী রাজ্যে যে হারে টিকাকরণ চলছে তা ৯ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রপূরণ বিহারে বর্তমানের থেকে ৮ গুণ দ্রুত গতিতে টিকাকরণ সারতে হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন অ্যাপ মারফত পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের টিকাকরণ হয়েছে ১৭ শতাংশ কম। এখনও পর্যন্ত টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ পুরুষ। পশ্চিমবঙ্গে টিকাপ্রাপ্তদের ৫৬ শতাংশ পুরুষ, ৪৪ শতাংশ মহিলা। এদিকে জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে গোটা দেশে টিকাকরণ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছে ২৩ কোটির কাছাকাছি মানুষ।