ব্রিসবেন: অস্ট্রেলিয়ায় সন্ধান মিলল এক বিশাল আকৃতির ডাইনোসরের (Dinosaur) হাড়ের। এটি সম্পূর্ণ এক নতুন প্রজাতির ডাইনোসর। পৃথিবীতে অতীতে যে সব ডাইনোসর বাস করত তাদের মধ্যে বৃহদাকৃতির তালিকায় স্থান পাবে এই ডাইনোসর। এরা ছিল টাইটানোসর প্রজাতির (titanosaur family)। ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত এরা। ১৫ বছর আগেই এদের হাড় আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু নামকরণ হয়েছে সম্প্রতি।
বিজ্ঞানীরা (palaeontologist) এই প্রজাতির নাম রেখেছেন ‘কুপার’ (Cooper)। এই ‘অস্ট্রালোটাইটান কুপারেনসিস’দের (Australotitan cooperensis) আকৃতি ছিল বিরাট। এদের উচ্চতা ছিল ৫ থেকে ৬.৫ মিটার (১৬ থেকে ২১ ফিট)। দৈর্ঘ্য ছিল ২৫ থেকে ৩০ মিচার (৮২ থেকে ৯৮ ফিট)। অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রজাতির ডাইনোসরই ছিল সবচেয়ে বৃহদাকৃতির। এরোমাঙ্গা ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের (Eromanga Natural History Museum) ডিরেক্টর রবিন ম্যাকেঞ্জি (Robyn Mackenzie) বলেছেন, ডাইনোসরের যে সব অঙ্গ সংরক্ষণ করা রয়েছে তার মধ্যে এই টাইটানোসরের অঙ্গগুলি প্রথম পাঁচ দীর্ঘাকৃতি অঙ্গের মধ্যে আসে। ২০০৬ সালে ম্যাকেঞ্জির ফ্যামিলি ফার্ম থেকে ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দূরে এই হাড়ের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তখন বিজ্ঞানীরা কিছু প্রকাশ করেনি। ২০০৭ সালে এই হাড় প্রথম প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়।
কুইনসল্যান্ড মিউজিয়ামের (Queensland Museum) বিজ্ঞানী স্কট হকনাল (Scott Hocknull) বলেছেন, ‘অস্ট্রালোটাইটান কুপারেনসিস’ যে একটি নতুন একটি প্রজাতি তা নিশ্চিত করা খুব দীর্ঘ এবং কষ্টসাধ্য কাজ। এই ডাইনোসর প্রজাতির কাছাকাছি যে সব ডাইনোসরের হাড় পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তুলনা করা হয়। হাড়ের থ্রিডি স্ক্যান মডেলও করা হয়। তার উপর নির্ভরশীল এই গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা সোমবার একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। যেখান তেকে এই ডাইনোসরের হাড় আবিষ্কৃত হয়েছে সেই একই জায়গায় আরও অনেক ডাইনোসর কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। হকনুল বলেছে, এই সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে এখনও অনেক গবেষণা প্রয়োজন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.