মঙ্গলবার নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট ঘিরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্ম শিবির ত্যাগ করে ঘাসফুলে ফেরার বার্তা আরও জোরালো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো এও শোনা যাচ্ছে রাজীবের তৃণমূলে ফেরা কার্যত এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এই বার্তা স্পষ্ট হতেই মীরজাফর, গদ্দার, বেইমানদের ডোমজুড়ে কোনও ঠাঁই নেই বলে রাজীবের নাম না করে পোস্টার পড়েছে। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিতর্ক শুরু হতেই এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।
তাঁর বক্তব্য, "প্রয়োজনের সময় যারা দলকে বিপদে ফেলে চলে যায়, সেই গদ্দারদের কোনও জায়গা নেই। দলে কোনও বিশ্বাসঘাতককে চাই না। মানুষ ওকে ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে সেটা বুঝিয়েই দিয়েছে।" প্রয়োজনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এই বিষয়ে আবেদন জানানো হবে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের।
বিজেপিতে বেসুরো হতেই রাজীবের বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ের শলপে বুধবার সকাল থেকে একাধিক পোস্টার চোখে পড়ে। নিচে লেখা ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকায় ছেয়ে দেওয়া হয়েছে রাজীবের নামে পোস্টার। তবে পোস্টারে কোথাও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই মীরজাফর, গদ্দার এবং বেইমান বলে যে ওই পোস্টার দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট। পোস্টারে লেখা, "বাংলার মীরজাফর, গদ্দার ও বেইমানদের কোনও ঠাঁই নেই।" কোনও পোস্টারে লেখা, "মীরজাফর, গদ্দার, বেইমানদের ডোমজুড়ে কোনও ঠাঁই নেই।"
আবার কোনও পোস্টারে লেখা, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একান্ত অনুরোধ এই বেইমান, গদ্দারদের যেন বাংলায় ঠাঁই দেওয়া না হয়।" স্বাভাবিকভাবেই এইসব পোস্টার ঘিরে শলপে রাজনৈতিক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আর এতেই রাজীবের পদ্ম শিবির ত্যাগ করে ঘাসফুলে ফেরার বার্তা জোরালো হয়।
ট্যুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে রাজীব লেখেন, 'সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।"
এরপর এবার নাম না করে রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ডোমজুড়ে।