প্রকৃতির নিয়মে মানুষের জন্ম যেমন হবে তেমন মৃত্যুও হবে। তবে এই গ্রামে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা জন্মের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।

তাই আস্তে আস্তে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে গ্রামটিতে। এখন মাত্র ২৭ জন মানুষ বাস করেন।

তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো একটি বাড়িও আপনি খালি দেখবেন না। কারণ সেখানে মানুষের জায়গায় অন্য কাউকে রাখা হয়েছে।

গ্রামটি জাপানে দেখতে পাবেন। জানতে ইচ্ছা করছে কারা বাস করেন এখন?

শিরোনাম পড়ে হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন জাপানের। সবথেকে কম বসতিপূর্ন অঞ্চল হল শিকোকু (nagoro village)।

এটি একটি দ্বীপ (valley of dolls)। এই দ্বীপে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর একটি গ্রাম রয়েছে যার নাম নাগোরো (nagoro village)।

এখানে এক সময়ে নাকি ৩০০ জন গ্রামবাসী থাকতেন তবে এখন তা কমে কমে ৩০ এর থেকেও কম হয়েছে। সেখানে শেষ যে শিশুটি জন্মেছে তার নাম সুকিমি আয়ানো।

তার জন্মের পর গ্রামের অন্যান্য মানুষের মতোই নিজেদের রোজগারের কারণে তার বাবা-মাকে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে হয়। তবে বাবা মারা যাবার পরে তারা আর সেই গ্রামে ফিরে আসেনি (valley of dolls)।

যখন বাবা মারা যায় তখন তার বয়স ছিল ৪১ বছর। তবে গ্রামটি জনশূন্য হলেও সেখানে যে পুতুলগুলি করে রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত বাড়ি গুলিতে তাদেরকে দেখলে গ্রামটি লোকারণ্যে ভরপুর মনে হবে।

হ্যাঁ এই সুন্দর গ্রামের নিঃসঙ্গতাকে ভোলাতে সুকিমি নিজেই একটি উদ্যোগ নেয়। সে সেখানকার মানুষগুলির আদলে গড়ে তোলে কিছু পুতুল তারপর।

গ্রামের বিভিন্ন বাগান, দোকান, বাড়িগুলিতে তাদেরকে রেখে দেয়। আপনি শেখান দিয়ে পেরোলে মনে হবে ঠিক যেন কোনো মানুষ বসে আছে সেই জায়গাগুলিতে।

শিক্ষার্থীর অভাবে একসময় সেখানকার স্কুলটিও বন্ধ হয়ে গেছিল। তবে এখন আবার চালু করা হয়েছে স্কুলটি।

কিন্তু সেখানে কোনো মানুষের শিশু নয়, পড়াশোনা করে পুতুল।

নিজের গ্রামের কথা বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিতে ২০১৪ সালে একটি তথ্যচিত্র (documentary) তৈরি করে সুকিমি। এরপরই তা একটি পর্যটনকেন্দ্র (tourist spot) হয়ে ওঠে।

 

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.