হাওড়া : বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে (howrah district jail)। জানা গেছে, মৃতের নাম সনাতন দাস (৩২)। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তার স্বামীকে (husband) জেলের মধ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (police)।
জানা গিয়েছে, গত ২০১৯ সালেএ সেপ্টেম্বর মাসে ডোমজুড় থানার পুলিশ নারকোটিক এন্ড ড্রাগ সাবস্টেন্স আইনে আন্দুলের মহিয়াড়ির বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক সনাতন দাসকে গ্রেফতার (arrested) করে। গ্রেফতার পর প্রায় দীর্ঘ কুড়ি মাস তিনি হাওড়া জেলে বন্দী। সোমবার সকালে সনাতন দাসের স্ত্রী খবর পান তার স্বামীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়েই স্ত্রী কুসুম দাস জেলা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার স্বামী মারা গেছেন। কুসুম দাসের অভিযোগ, তার স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওড়ার জেলাশাসককে এই মর্মে ইমেল মারফত অভিযোগ করেছেন মৃতের আইনজীবী।
হাওড়া জেলের সুপার দেবাশিস মণ্ডল জানান, নিয়ম মেনে দেহের পোস্টমর্টেমের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
চলতি বছরে মার্চ মাসে এমনই ঘটনা ঘটেছিল মালদহের সংশোধনাগারে। বিচারাধীন বন্দির জেলা সংশোধনাগার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় জেলা সংশোধনাগারে। ঘটনার খবর পেয়ে বামনগোলা থানা এলাকা থেকে জেলা সংশোধনাগারে এসে পৌঁছেছিল মৃত বিচারাধীন বন্দীর পরিবার। সেখানেও মৃতের স্ত্রী’র অভিযোগ ছিল, তার স্বামীকে মারধর করার জন্যই মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও জেলা সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃত ওই বিচারাধীন বন্দির নাম সুকুমার মণ্ডল (৪৫)। বাড়ি মালদহ জেলার বামনগোলা থানার চাঁদপুর এলাকায়। এলাকারই এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
মালদহ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত সুকুমার মন্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই রহস্যজনক ভাবেই সংশোধনাগারের একটি ঘর থেকেই ওই বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
মৃতের পায়ে রক্ত লেগে থাকার কারণ নিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছিল পরিবারের লোকেরা। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ করে বলেছিল, ‘আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তারপরে ওকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ও যদি আত্মহত্যা করতো তাহলে পায়ে কেন চাপ চাপ রক্ত লেগেছিল? আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে, তাই এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
মালদহ জেলা সংশোধনাগারে তদন্তে এসেছিলেন মালদহ কালেক্টরেটের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস । তাঁর উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.