ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মাঝে হিংসাত্মক ও পরিবেশ তৈরি করা, উগ্র ধর্মীয় ভাবাবেগ ছড়ানোর অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একাধিক শীর্ষ নেতা পুলিশের জালে। সংগঠনটি বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
এবার আরও বিপাকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক সহ ৫০ জন নেতার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
বুধবার দুদক সচিব মহম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, হেফাজতের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই নেতাদের
বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে। এছাড়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ।
বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতে ইসলাম নেতৃত্বের কব্জায় অবৈধ জমির মানিকানা রয়েছে। তাদের সম্পত্তির বিবরণ চেয়ে ভূমি অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান সংঘটিত হবে।
বিবিসি জানাচ্ছে, মোদীর সফরে ধংসাত্মক পরিবেশ তৈরির জেরে ব্যাপক ধরপাকড়ে হেফাজতে ইসলাম ব্যাতিব্যস্ত। এছাড়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শফীর প্রয়াণের পর হেফাজতে ইসলাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বি়ভক্ত।
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম তাদের সাংগঠনিক নেতৃত্বের রদবদল করে। অন্যতম নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমীর (প্রধান) এবং নুরুল ইসলাম জেহাদীকে মহাসচিব পদ দিয়ে ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই হেফাজতে নেতাদের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের বার্তা দিল দুদক।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর কিছু পরে বাংলদেশ সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতৃত্ব ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন সুর চড়ায়। সেই রেশ ধরে মোদীর সফরের মাঝেই গরম হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আসে। শুরু হয় অভিযান। চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ছিল রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ধরা হয় সংগঠনের বহু নেতা কর্মীকে।
হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ বিশ্বজোড়া আলোড়ন ফেলেছিল। সরকার কড়া হাতে দমন করে। বিবিসি জানাচ্ছে, পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে হেফাজতের সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি এতে চিড় ধরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.