অফিস থেকে শুরু করে দেশ চালাতেও জানতে হয় অর্থনীতি। তবেই সংসার বা দেশ যাই হোক না কেন বজায় থাকবে ভারসাম্য (financial planning)।
করোনাকালে এই বাজেটের উপর জোর দিতে হবে প্রতিটি দম্পতিকেই (couple budget)। আয় বুঝে ব্যয় করার কৌশল বাড়ির অর্থমন্ত্রীকে জানতেই হবে।
নইলে মাসের মাঝামাঝি গিয়েই নাকানি চোবানি খেতে হবে পরিবারের সকলকে খরচ নিয়ে।
মাসের যে আয়টুকু হয় বাড়িভাড়া, সন্তানের পড়াশোনা, বাজার খরচ, চিকিৎসা সব মিলিয়ে সঞ্চয়ের ও ব্যয়ের হিসাব বানানো উচিত (couple budget)।
আপনি যদি একটু বুঝে-শুনে চলেন তাহলে আয়-ব্যয়ের মাঝে থাকবে সুসম্পর্ক। আর সেই সঙ্গে আপনিও করে ফেলবেন সঞ্চয়।
তাই আমাদের সকল পাঠকদের জন্য আমরা দিলাম এমন কিছু টিপস যা মেনে সারা বছরই আয় ব্যয় হিসাব মিলিয়ে চলতে পারবেন দম্পতিরা (financial planning)।
১. সঞ্চয় করতে হলে সবার আগে সাশ্রয়ী হতে হবে। ভুলভাল খরচ কমাতে হবে পরিবারের সকলকে।
তবে মাঝে মাঝে একটু রুটিনের বাইরে যেতে ইচ্ছে করে সবারই। তাই মাইনে পাওয়ার পরই আপনি সবার আগে বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ অর্থ হিসাব করে ফেলুন (expenditure)।
এরপরে কিছু বাড়তি অর্থ রাখুন নিজেদের বিনোদনের জন্য।
২. এই পদ্ধতিটি জটিল। তাই শুরুটা করতে হবে আস্তে আস্তে।
প্রতিদিন অল্প অল্প করে কোন বিশেষ জায়গায় টাকা জমাতে শুরু করুন (savings)। একসময় দেখবেন আপনার বুদ্ধির ফলে দরকারের সময়ে এই জমানো পুঁজি আপনার কাজে লাগছে।
৩. আজকাল বাজারদর যেভাবে আকাশছোঁয়া হতে চলেছে তাতে সহজ উপায় হলো নিজের বাড়ির মধ্যে ছোট্ট বাগান করে ফেলা (self farming)।
সবজি এবং বিভিন্ন ফলের বাগান বাড়ির ছাদে অথবা বাড়ির এক কোণে করে ফেলতে পারেন (self farming)।
এতে যেমন টাটকা খাবার আপনি প্রতিদিন ডায়েটে রাখতে পারবেন তেমন দরকার হলে আপনাকে বাজারে দৌড়াতে হবে না।
৪. শপিং (shopping) করতে যাওয়ার আগে দেখে নেবেন আপনার ঠিক কী কী প্রয়োজন। দরকার হলে লিস্ট নিয়ে যাবেন।
যেটা বিশেষ প্রয়োজন শুধু সেইটুকু নিয়ে কিনে আনবেন।
৫. ভবিষ্যতে আপনাকে কি কি কিনতে হবে সেটার একটা তালিকা বানিয়ে রাখুন (future expense)। যেমন অনেকেরই ফ্ল্যাট কেনার, গাড়ি কেনা বা বাড়ির টুকটাক জিনিস কেনার ইচ্ছা থাকে।
সেগুলির জন্য সেই সময়ে বড় মাপের টাকার অংক খরচ না করে এখন থেকেই জমাতে শুরু করুন (future expense)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.