পানাজিঃ মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন তো স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে কিছু কিছু বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই ভাইরাল হয়, যেগুলির শর্ত দেখে বেজায় মজা পান নেটিজেনরা। তবে দেশজুড়ে চলা করোনা মহামারীর তাণ্ডবের জেরে প্রথাগত রীতিনীতিতে এসেছে অনেক পরিবর্তন। দেশের এই সংকটকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছে আমূল পরিবর্তন। সেই সব বিয়ের মুহূর্তও ভাইরাল (Viral) হচ্ছে বিদ্যুৎ বেগে। তবে এবার যেটি ভাইরাল হল সেটি পাত্র চেয়ে কন্যার বাবার বিজ্ঞাপন। সেই বিজ্ঞাপন (matrimonial ad) দেখে দেশের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরাও মন্তব্য না করে থাকতে পারলেন না।

এখন হয়ত ভাবছেন কী এমন বিজ্ঞাপন, যার জন্য এত হইহই। বলে রাখি, বিজ্ঞাপনের  উদ্দেশ্যও গুলির মধ্যে অন্যতম হল করোনা রুখতে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো। সম্প্রতি দুই মেয়ের বাবা বছর পঁয়তাল্লিশের সাভিয়ো ফিগেরিদো। গোয়ার (Goa) বাসিন্দা তিনি। গত ৪ জুন নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি নিজের কন্যার বিয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “২৪ বছর বয়সি রোমান, ক্যাথলিক পাত্রীর জন্য উপযুক্ত পাত্র চাই। পাত্রী কোভিশিল্ডের (covishield)  দুটি ডোজই নিয়ে রেখেছে, তাই পাত্রকেও এই টিকার দু’টি ডোজ় নিয়ে থাকতে হবে।”

চিত্র

পেশায় ফার্মাসিস্ট ফিগেরিদোর এই অভিনব বিজ্ঞাপন দেখে নিউ নর্ম্যাল ইন্ডিয়ার কথা মাথায় আসল অনেকের, নেটিজেনদের অনেকেই এটা ভাবছেন তবে করোনা (Corona) থেকে মুক্তি মিললে এটাও বিয়ের জন্য হয়ে উঠতে চলেছে অন্যতম শর্ত। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (shashi tharoor) এই পোস্টটি টুইট করে লিছেছেন , ‘ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কন্যা ভ্যাকসিন গ্রহণকারী পাত্র চাইছেন! তবে এতে কোনও সন্দেহ নেই, বিয়ের পছন্দের উপহার হতে চলেছে একটা বুস্টার শট!?’ তারপরই তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে এটাই কি আমাদের নিউ নর্ম্যাল হতে চলেছে?’

উল্লেখ্য, দুই কন্যার বাবা সাভিয়ো ফিগেরিদো অবশ্য কিছুটা মজার ছলে সচেতনতার পাঠ পড়াতে চেয়েছেন এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তিনি নিজেই জানান, তার ২২ বছর বয়সী মেয়েটির আগে থেকেই বয়ফ্রেন্ড রয়েছে, তাই পাত্ররা যতই ফোন করুক, মেয়ের বিয়ে এখনই দেওয়া হচ্ছে না। এই বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তাঁর মেয়েরা জানতে পেরে, তাঁরা হেসে খুন। বাবা নিজেই বলছে, ‘মেয়েরা আমাকে বলেছে বাবা তুমি পারো বটে’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.