কলকাতা: “জানার কোন শেষ নাই
জানার চেষ্টা জারি তাই”
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) ক্ষেত্রে এই কথাটা সম্পূর্ণ রকমভাবে প্রযোজ্য। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও অভিনেত্রীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা না দেওয়ার আনন্দ নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন অভিনেত্রী ব্যাক-টু-ব্যাক দুরন্ত অভিনয় এবং দুর্দান্ত ছবি করার পরেও শেখার আর জানার আগ্রহে সবসময় প্রস্তুত।
এই কোভিড পরিস্থিতিতেও সে তার নতুন ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা জারি রেখেছিল। একে ছিল লকডাউনের মানসিক চাপ তার সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার জন্য পরপর দুটি সার্জারি। তারপরেও হাল ছেড়ে না দিয়ে পুরোদমে নিজের প্রচেষ্টায় দৃঢ় রয়েছিলেন তিনি। তিন বছর আগে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াতে অভিনেত্রী একটি বিশেষ কোর্সের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজকদের সঙ্গে সিনেমার কন্ট্রাক্ট থাকায় বিদেশে গিয়ে সে পড়াশোনা তিনি করতে পারেননি। তাই স্বদেশে থেকেই চালিয়ে গিয়েছিলেন এই কোর্সের জন্য পড়াশোনা।
কয়েক মাস ধরে তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা ও বেদনার মধ্যে দিয়ে যাবার পর, অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল ঋতাভরীর। অস্ত্রোপচারের পর খুব দ্রুত, অভিনেত্রী ইউসিএলএতে তার অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছিলেন। গতকাল প্রকাশিত হয়েছে সেই পরীক্ষার ফলাফল। বিষয় ছিল ক্যামেরার সামনে অভিনয়। যেখানে অভিনেত্রী গ্রাজুয়েট তো হলেন ঠিকই তার সঙ্গে জিতলেন এই বছরের সেরা পুরস্কার।
অভিনেত্রীর মা পরিচালক শতরূপা সান্যাল (Satarupa Sanyal) মেয়ের মুকুটে এই নতুন পালক এর কথা শেয়ার করে লিখলেন, “আজ ঋতাভরী UCLA( University of California ) থেকে গ্রাজুয়েট হল। দুটো সার্জারি, লকডাউনের মানসিক চাপ, সব কিছু কে মোকাবিলা করেই একটানা ক্লাস করত কাক ভোর থেকে! পুরো অনুষ্ঠানটাই ছিল অনলাইন। আমি উপস্থিত থেকে দেখলাম!! মেয়ে এই বছরের সেরার পুরস্কার জিতল, তারও গৌরবের সাক্ষী রইলাম!””রূপে লক্ষ্মী,গুণে সরস্বতী” যদি কোনো তকমা হয়,তবে তা নিঃসন্দেহে অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে বলা যেতেই পারে। রূপের ছটা আর গুণ শুধু নয় এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর মানবদরদী রূপ জয় করেছে সবার মন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.