কানপুর: ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Accident) উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) কানপুরে (Kanpur) । মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম (Injured) হয়েছেন আরও অন্তত ৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Critical) বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পরেই ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁরাই প্রথম উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে পুলিশ (Police) ও দমকলকর্মীরা গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে (Hospital) পাঠানো হয়েছে। এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) । দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কানপুরের সাচেন্দি (Sachendi) এলাকার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। কানপুর থেকে আহমেদাবাদগামী বেসরকারি বাস হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ধাক্কা মেরে সেতু থেকে উল্টে নিচে পড়ে যায়। সেতুর নীচে বাসটি পড়ে যায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। রাতে সেই শব্দ আরও তীব্র হয়। যাত্রীদের আর্তনাদে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে বাসটির ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় স্থানীয়দের।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে আনা হয় জেসিবি মেশিন। বাসটি সোজা করে আহতদের উদ্ধার করা হয়। ওই বাসের ভিতর থেকে বেশ কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৭ যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসটি থেকে ৩০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, দ্রুত বেগে আসার জন্যই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেল। স্থানীয়দের অনেকেও গতি বেশি থাকার কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.