মিউজিক প্লেয়ারে একে একে বেজে চলেছে ‘তুমহি হো বন্ধু’, ‘তু যো রুঠা তো কন হাসে গা’ কিংবা চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের ‘বন্ধু তোমায় এগান শোনাবো বিকেল বেলায়’। আর আপনি আপনার বন্ধুদের গ্রুপে বসে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সঙ্গে চিপস আর কোল্ড ড্রিংক্স কিংবা স্ন্যাক্স। এমন একটা দিন সকলেই মিস করে।

আসলে পরিস্থিতিই এমন যে ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। যতই বন্ধু, আড্ডা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সেই মজার দিনগুলো মিস করেন না কেন কিছুই করার নেই। আসলে, এবছরটা এক্কেবারে অন্যরকম। করোনার জন্য ঘরবন্দী সকলে। সময়ে সময়ে দোকান খুললেনও বাইরে বের হওয়ার জো নেই। সুযোগ নেই ঘুরতে যাওয়ার, সুযোগ নেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার। এখন সবই ইন্টারনেটের (Internet) ওপর ভরসা। এই লকডাউনে (Lockdown) বাড়ি বসে ভার্চুয়ালি সকলেই পালন করে চলেছে সব অনুষ্ঠান। তাহলে বেস্ট ফ্রেন্ড ডে (Best Friend Day) বাদ যাবে কেন। বন্ধুত্বের এই বিশেষ দিন পালন হোক ভার্চুয়ালি। এই দিনটাকে করে তুলুন খুবই স্পেশ্যাল। জেনে নিন কী করবেন-

স্পেশ্যাল চিঠি- এক্কেবারে অন্যরকম করে পালন করুন বেস্ট ফ্রেন্ড ডে। চিঠি দিয়ে চমকে দিন বন্ধুকে। বন্ধুর সঙ্গে কাটানো সেরা মুহূর্তের কথা চিঠিতে লিখতে ভুলবেন না। আর অবশ্যই জানান আপনি তাকে কতটা মিস করছেন।

স্পেশ্যাল গিফট- হয়তো আপনার আর আপনার বন্ধুর বাড়ির দূরত্ব বেশ খানিকটা। তাই এই দিনে দেখা হওয়া মুশকিল। তো কি হয়েছে। অনলাইনে বুক করে দিন উপহার। তবে, সেই একঘেয়ে কোনও জিনিস উপহার দেবেন না। এমন কিছু দিন যা পেয়ে সে চমকে যাবে।

অনলাইন মুভি ডেট- আজকাল মুভি দেখতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম-ই ভরসা। আর কারওর সাথে দেখা করা মানে অনলাইন চ্যাট। এবার এই দুটো জিনিসকেই কাজে লাগান। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে মুডি ডেট করুন। যে যার বাড়ি থেকে এই ডেট করতে পারবেন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় দুজনে মিলে মুভি দেখুন। আর অবশ্যই ভার্চুয়ালি বন্ধুর সঙ্গ উপভোগ করুন।

অনলাইন গেমিং প্ল্যান- আপনি ও আপনার বন্ধু কি গেম খেলা নিয়ে পাগল? সারা দিন যতই ব্যস্ত থাকুন, একবার হলেও প্লেস্টেশন কিংবা অন্য গেমস খেলেন? সেক্ষেত্রে বেস্ট ফ্রেন্ড ডে স্পেশ্যাল অনলাইন গেমস খেলার প্ল্যানিং করতে ভুলবেন না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.