লাভপুর: বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল (Tmc) ছেড়ে এঁরা নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে (Bjp) । তবে ভোটে ভরাডুবি হয়েছে পদ্ম শিবিরের। এবার ফের পুরনো দলে ফিরতে চান এঁদের অনেকে। তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানাতে অভিনব পন্থা বেছে নিলেন লাভপুরের (Lavpur) দলত্যাগী কয়েকজন। টোটোয় চেপে গ্রাম ঘুরে তাঁদের প্রচারের ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘ভুল করেছি। তৃণমূলের বদনাম করেছিলাম। বিজেপিতে আর থাকতে চাই না। তৃণমূলেই ফিরতে চাই আমরা।’ মাইকে এমনই প্রচার একদল রাজনৈতিক কর্মীর।
বিধানসভা ভোটের ফলই গেরুয়া শিবিরের সব হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। একদিকে কলকাতায় দলের সদর কার্যালয়ে দলবদলের চিত্র টিভির পর্দায় দেখা যেত নিত্যদিন। তৃণমূলের একের পর এক নেতা-কর্মী দলে-দলে নাম লিখিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। এমনকী চলচ্চিত্র জগত থেকেও অনেকে এসে যুক্ত হয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে ভোটের ফল বেরনোর পর ছবিটা বদলেছে। বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূল ছেড়ে আসা অনেক নেতারই। মুকুল রায় (Mukul Roy), শুভ্রাংশু রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) থেকে শুরু করে তালিকাটা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
একই ছবি জেলাগুলিতেও। মঙ্গলবার অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরের বিপ্রটিকুরি গ্রাম। ভোটের আগে এই এলাকার বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোট মিটতেই তাঁদের অনেকেরই ‘মোহভঙ্গ’ হয়েছে। পের পুরনো দল তৃণমূলেই পিরতে চান তাঁরা। তৃণমূলত্যাগী বেশ কিছু কর্মী, সমর্থক রীতিমতো মাইকিং করে তাঁরা পুরনো দলে ফেরার আবেদন জানালেন। মঙ্গলবার ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও সোশ্যাল সাইটগুলিতে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিন লাভপুরের বিপ্রটিকুরি গ্রামে মাইকিং করে তৃণমূলত্যাগীরা বলেছেন, ‘তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। ভুল করেছি। এই ভুল আর আমাদের হবে না। আমরা সবাই আবার তৃণমূলে ফিরতে চাই। বিজেপিতে আর থাকতে চাই না।’’
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলত্যাগী অনেক নেতাই ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। জেলায়-জেলায় বহু কর্মীরাও শাসকদলে যুক্ত হতে চাইছেন। অনেকে সরাসরি তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে জল মাপছেন। এপ্রসঙ্গে সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) বলেছেন, ‘‘শুধু দলত্যাগীরাই নন, বিজেপির অনেক বিধায়ক যোগাযোগ করছেন। তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ওয়ার্কিং কমিটি।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.