স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ২৩ জুন থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামছে বিজেপি (BJP) । মঙ্গলবার এই ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ (Dilip Ghosh) তিনি বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু বিজেপি শূন্য রাজনীতির চেষ্টা চলছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য রাস্তায় নামবে বিজেপি।
এদিন কলকাতার হেস্টিংস অফিসে রাজ্য বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক রাজ্য নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “বাংলাকে বিরোধীশূন্য করার চেষ্টা করছে। আদালত বলার পরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভ্যাকসিন নিয়েও রাজ্যে রাজনীতি চলছে।“ এরপর তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘একটি স্থানীয় দলের নেতা কী করে অল ইন্ডিয়া প্রেসিডেন্ট হয়, সেটা চিন্তার বিষয়। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার মানুষ নিজের মেয়েকে চায় না এটা বুঝিয়ে দিয়েছিল মেদিনীপুর। তাও তিনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হয়েছেন। যিনি জিতেছেন তাঁর মুখ দেখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ যাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাঁকে স্বীকৃতি দেন না মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিন তিন সদস্যের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গড়ল বিজেপি। কমিটির মাথায় রয়েছেন সাংসদ সুভাষ সরকার। অন্য দুই সদস্য হলেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও রথীন বোস।সূত্রের খবর, দলের অন্দরের ক্ষোভ-দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই এই কমিটি বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচিও ঠিক করা হয় এই বৈঠকে।
এদিন বৈঠকে যোগ ছিলেন না দলের মুকুল রায় (Mukul Roy)৷ অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) দিল্লিতে থাকায় তিনি এই বৈঠকে থাকছেন না৷ এ প্রসঙ্গে দিলী ঘোষ বললেন, “মিটিং ছিল জানতাম। কিন্তু কেন গিয়েছে জানি না। শুভেন্দু বা দিল্লির নেতারা বলতে পারবে। হয়তো কোনও জরুরি দরকারে গিয়েছে।” তবে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷ তবে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মুকুল রায়ের শরীর ভাল নেই৷ তাই তিনি বৈঠকে থাকতে পারছেন না৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.