বিজেপি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
এদিন হেস্টিংস হাউজে দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এবং রধীন বসু। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের আত্মসমালোচনার ডাকই হোক কিংবা জেলা জেলায় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ, তা মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। যার জেরেই এই কমিটি গঠন বলে জানা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন না অনেক নেতাই
দিলীপ ঘোষ নিজেই জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্তের মতো নেতারা। তাঁদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। শমীক ভট্টাচার্যের পিতৃবিয়োগ হয়েছে এদিনই। এছাড়াও তাঁর মা অসুস্থ।
দিলীপ-মুকুলের ভিন্ন মন্তব্য
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মুকুল রায়কে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে আসতে পারেননি। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমে মুকুল রায় জানিয়েছেন, তিনি এই বৈঠক সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি এখন আর এসবের মধ্যে নেই। তিনি নিজের যন্ত্রণায় জ্বলছেন। যাঁরা আসেননি তাঁদের সবাইকেই এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
দিন কয়েক আগে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া নিয়ে দুই নেতার মন্তব্যে বিস্তর ফারাক ছিল। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, হাসপাতালে কাউকে দেখতে গেলে কাউকে আগে থেকে জানানোর কোনও দরকার নেই। পাল্টা মুকুল রায় বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষ কেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন তা তিনি কিংবা শুভ্রাংশু জানেন না।
শুভেন্দুকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে কী কারণে ডাকা হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁকে ডাকা হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে জানিয়েছেন, তিনি অমিতাভ চক্রবর্তীকে তাঁর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে বলে এসেছেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনও কথা হয়নি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর অ্যাডজাস্টমেন্ট ভাল।
দিলীপকে অন্ধকারে রেখে শুভেন্দুকে কেন তলব দিল্লিতে, বিজেপির অন্দরে বাড়ছে গুঞ্জন