সৌমিত্রকে নিয়ে জল্পনা
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা একাধিক নেতানেত্রী পুরনো দলে ফেরত যেতে আবেদন করে রেখেছেন। আবার অনেকেই বিজেপিতে থেকে বেসুরো হয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজের সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পরেই দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও অনুপস্থিত হয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন। সেই সময় যদিও তিনি বলেন, যে সময়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩ জন আর সাংসদ সংখ্যা ২। আর এখন তা যথাক্রমে ৭৭ ও ১৮। যদিও তারপরেও জল্পনা চলতেই থাকে। কেননা তিনি মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের উপস্থিতিতে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। এই শুভ্রাংশুই দিন কয়েক আগে বিজেপির অন্দরে আত্ম সমালোচনার ডাক দিয়েছিলেন।
সৌমিত্রকে সরিয়েই যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছিল অভিষেককে
শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছিল সৌমিত্র খানকে। আর সৌমিত্র খানকে সরিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা এখনও মনে রয়েছে সৌমিত্র খানের।
যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তের মতো অনেকেই এদিন হেস্টিংসে ডাকা দিলীপ ঘোষের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও, সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র খান। নির্দিষ্ট সময়েই তিনি হাজির হয়েছিলেন সেখানে। বৈঠকের পরে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় সম্পর্কে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সঙ্গে নতুন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরির কথাও জানান।
অবস্থান স্পষ্ট করলেন সৌমিত্র
হেস্টিংসে দলবদলের জল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করায় সৌমিত্র বলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, তিনি সেদিন তৃণমূলে ফিরবেন। রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব না হলেও এই মুহূর্তে যা অসম্ভব। এব্যাপারে নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কেও নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।