বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতের ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতের ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ উদ্যোগী হন নিহতদের বাড়িতে পৌঁছতে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গেই হুগলি ও মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে যাবেন তিনি। হুগলি জেলায় ১১, মুর্শিদাবাদে ৯, বাঁকুড়ায় ২ এবং দুই মেদিনীপুরে ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাই যে ২টি জেলায় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেখানেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক। বুধবার তিনি পৌঁছবেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমায়। শুধুমাত্র জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৭ জন। বহরমপুরে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। আহত হয়েছেন ৭ জন। তাঁদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বহরমপুর থেকে জেলা সফর অভিষেকের!
জানা গিয়েছে প্রথমে বহরমপুর যাবেন অভিষেক। সেখানেই নিহত ২ জনের পরিবার-সহ আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এর পরেই রঘুনাথগঞ্জ ব্লকের একটি শিবিরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। ১০ জুন বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার হরিপাল ও খানাকুল ব্লকে যাবেন অভিষেক। সেখানে নিহতদের পরিবার পরিজনের পাশাপাশি, আহতদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এর পর হুগলি জেলার পোলবার দাদপুরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানও বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জননেতা অভিষেক!
সদ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তার পরেই আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিকমহলের মতে, তাঁকে সামনে রেখেই জাতীয় রাজনীতিতে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তবে অভিষেকের ক্ষেত্রে বিরোধীরা অনেকেই নানা রকম অভিযোগ তোলে। এই অবস্থায় একজন জননেতা হিসাবেই জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটু অন্য ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁর সাংসদ ভাইপোকে। সরাসরি সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
দিল্লি থেকেই অভিষেককে নিশানা, দলবদল আর ত্রিপল চুরির এফআইআর নিয়ে কড়া চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর