নয়াদিল্লি: গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)  টিকাকরণ (Vaccination) নিয়ে নয়া নীতি কথা জানিয়েছিলেন। তবে কিভাবে টিকাকরণ হবে তা কেন্দ্রের তরফে পরে জানানো হবে বলেছিলেন। এবার সেই টিকাকরণ এবং টিকার বন্টন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। এদিন টিকাকরণ নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা (Guidelines for vaccination)জারি করা হল।

নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের জনসংখ্যা (Population), আক্রান্তের সংখ্যা, টিকাকরণের গতির উপর নির্ভর করেই রাজ্যগুলো টিকা পাবে। গাইডলাইনে ভ্যাকসিন নষ্ট নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে |ভ্যাকসিনের অপচয় হলে বরাদ্দকৃত ভ্যাকসিনের উপর প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণার একদিন পরই সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, ২১ জুন থেকে সমস্ত রাজ্যের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।

টিকার অপচয় নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য এখন শাঁখে করাত সম্পর্ক। ভ্যাকসিনের বহু নষ্ট ভায়াল উদ্ধার হয়েছে রাজস্থানে। এদিকে ভ্যাকসিন নষ্ট নিয়ে বহু বৈঠকে প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ঝাড়খণ্ড (৩৭%), ছত্তিশগড় (৩০%), তামিলনাড়ু (১৫.৫%), জম্মু ও কাশ্মীর (১০.৮%) এবং মধ্য প্রদেশে (১০.৭%) অপব্যয় হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে করোনা যোদ্ধা যারা দ্বিতীয় টিকা পাননি এখনও পর্যন্ত, তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে।

করোনার (Corona Virus) বিরুদ্ধে লড়াই করতে একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিন (Vaccine)। এখনও পর্যন্ত ২৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৬ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। গত মাসের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১২৩ জনের। আশা জাগিয়ে এদিন বেড়েছে সুস্থতার সংখ্য়াও। মঙ্গলবার সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮২ জন। দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার প্রায় ১ লক্ষ বেশি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.