ফিফার বড় শাস্তি
সোমবার ফিফার বড় শাস্তির খাঁড়া ইস্টবেঙ্গলের ঘাড়ে নেমে এসেছে। বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ফুটবলারদের ২০১৯-২০ মরসুমের বেতন বকেয়া রেখেছে লাল-হলুদ। এই অবস্থায় নতুন মরসুমে কলকাতার ক্লাব ফুটবলার কেনাবেচা করতে পারবে না বলে ফিফার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইএসএলের অন্য ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সকেও নির্বাসিত করা হয়েছে।
ফুটবলারদের বেতন বকেয়া
কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে বিতর্কে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ২০১৯-২০ মরসুমের বেতন বকেয়া থেকে যায়। লগ্নিকারী সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব ক্লাব কর্তাদের। ফলে এই ইস্যুতে লাল-হলুদের তরফে কোনও উদ্যোগ না দেখেই ফিফার তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের সমস্যা
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে শ্রী সিমেন্টসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে ইস্টবেঙ্গল। এদিকে বকেয়া না পেয়ে এআইএফএফের দ্বারস্থ হন ফুটবলাররা। অভিযোগ জমা পড়ে ইন্ডিয়ান ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনেও। ২০১৯-২০ মরসুমের বকেয়া বেতন না পেয়ে সরাসরি ফিফার কাছে দরবার করেছিলেন দলের প্রাক্তন ফিজিক্যাল ট্রেনার, স্পেনের কার্লোস নোদার। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন স্প্যানিশ ফুটবলাররাও। এসবের মধ্যে লাল-হলুদের নতুন লগ্নিকারী সংস্থার তরফে মুচলেকা লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ক্লাবের পাঁচ কোটি বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। যদিও ক্লাবের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের আগের কোনও আর্থিক দায় নেওয়া হবে না বলেও শ্রী সিমেন্টসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই জটিলতা আরও বেড়ে যায়।
সাবধান করেছিল ফিফা
মাস খানেক আগেই ফিফার তরফে ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে ফুটবলারদের বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা জানা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে লগ্নিকারী সংস্থার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। চুক্তি সমস্যার কারণেই তাঁরা এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে লাল-হলুদের লগ্নিকারী সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।