করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় কতটা কাবু ভারতের অর্থনীতি, বিশ্বব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানে উদ্বেগজনক রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে ফের পর্যদুস্ত ভারতের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস বলছে ২০২২ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৩ শতাংশ হবে। আগে ১০.১ শতাংশ ধরেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মোদীর আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে।

করোনার ধাক্কা বাণিজ্যে
করোনা সেকেন্ড ওয়েভে ফের বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। একের পর এক রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনের পথে হেঁটেেছ। যার জেরে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ। বন্ধ বাণিজ্যিক সব পরিবহণও। ব্যাবসায়ীক লেনদেন অধিকাংশ রাজ্যে প্রায় ১ মাস মতো বন্ধ ছিল। যার জেরে অর্থনীতিতে বিপুল ধাক্কা এসেেছ।

আর্থিক বৃদ্ধির হার কমাল বিশ্বব্যাঙ্ক
করোনার সেকেন্ড ওয়েভের ধাক্কায় ভারতে যে আর্থিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২২ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমিয়েছে। আগে বিশ্বব্যাঙ্ক পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ১০.১ শতাংশ হবে। সেটা কমিয়ে ৮.৩ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ধীর গতিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

জুন মাস থেকে হাল ফিরবে
করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করেছে একাধিক রাজ্য। দিল্লি মহারাষ্ট্র সোমবার থেকে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। খুলেেছ দোকান-বাজার। খুলেছে পরিবহণ। মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে। বিহার এবং উত্তর প্রদেশেও আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নুমরা নামে এক আর্থিক সংস্থা দাবি করেছে জুন মাস থেকে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে।

বাদল অধিবেশন জুলাইয়ে
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি যখন সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে তখন লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। যার জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। এরইমধ্যে জুলাই মাসে বসতে চলেছে ভারতে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এবং মোদী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে সরব হবেন বিরোধীরা এমনইআশঙ্কা করা হচ্ছে।