অভিযোগ নং-১ টিমম্যান নন দিলীপ
কারও কথা খুব একটা শোনার অভ্যেস নেই তাঁর। সিদ্ধান্তও নেন নিজের বিশ্বাস মতো। দলের কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য কিংবা অনুরোধে আমল দেন না বেশিরভাগ সময়৷ যদিও এই পলিসিতেই মার্কেটে আলোচনায় থাকেন দিলীপবাবু৷ তবে বঙ্গ-বিজেপি সভাপতির এ হেন আচরণ নিয়ে অখুশি দলের অনেক কর্মী-সমর্থক নেতারা৷
অভিযোগ নং-২, অযথা বিতর্ক তৈরি করেন আলটপকা মন্তব্য করে
বিতর্ক আর দিলীপ ঘোষ যেন সমার্থক। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে পা রেখেই নিজ গুণে পরপর বিতর্ক তৈরি গেছেন বঙ্গ-বিজেপির এই জনপ্রিয় নেতা৷ কখনও গরুর দুধে সোনা রয়েছে বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন৷ কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে 'বারমুন্ডা' পরার উপদেশ দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন৷ সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে এক বিজেপি সমর্থক দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতিরা পাশে দাঁড়াচ্ছে না৷ মার খেতে হচ্ছে সাধারণ বিজেপি সমর্থকদের৷ এই শুনে হঠাৎ রেগে যান দিলীপ ঘোষ৷ সমর্থকটিকে তৃণমূল করার পরামর্শও দিয়ে বসেন।
অভিযোগ নং-৩, গরম গরম কথায় বিজেপি সমর্থকদের উসকে দিয়ে সরে পড়েন
শেষ কয়েকবছর ধরে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ বোধহয় এটিই৷ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে একটি বড় অংশ সোশ্যাল মাধ্যমে মাঝে মাঝেই আক্ষেপ করে, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মেরে দেওয়া কেটে দেওয়া সুলভ হুমকি দিয়ে চলে আসেন দিলীপ ঘোষ৷ পরে সেই হুমকির কারণে বেশি আক্রমণের মুখে পড়তে হয় সাধারণ বিজেপি সমর্থকদের। কর্মী-সমর্থকরা মার খেলে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় না দিলীপ ঘোষকে, এরকমও অভিযোগ মাঝে মাঝেই সামনে আসে৷
অভিযোগ নং-৪, অন্যদল থেকে আসা বঙ্গ-বিজেপির বড় নেতাদের সঙ্গে সদ্ভাব নেই!
মুকুল রায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার পর একাধিকবার প্রকাশ্যেই রায় বনাম ঘোষ বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ এরপরও বিভিন্ন সময় অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের আঁচে পুড়েছেন৷
অভিযোগ নং- ৫, দিলীপের পিএ-রা!
অবাক করার মতো হলেও এটাও শোনা যায় যে দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক এবং কাছের নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের অনেক নেতা কর্মীদেরই৷ কোনও আলোচনা, অভিযোগ নিয়ে দিলীপের ঘোষের কাছে পৌঁছতে চেয়েও পৌঁছাতে পারেন না অনেকে। কারণ দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক এবং কাছের নেতাদের কঠিন বেষ্টনী ভেদ করা সম্ভব হয় না৷ শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর তো দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক দেব সাহার সমালোচনায় নিয়ে সোজাসাপ্টা ফেসবুক পোস্ট করেছেন অনেক বিজেপি সমর্থক!
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে আশা জাগিয়েও বঙ্গে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পোঁছতে পারেনি বিজেপি৷ এর পর নতুন করে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগগুলিকে পাশপাশি রেখে তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন অনেকে৷ এখন দেখার সে দাবিতে কতটা আমল দেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷