বাড়ছে ভারতীয়দের সংখ্যা
আইএসএলের দলগুলির প্রথম একাদশে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ায় একজন করে বিদেশির সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমতে চলেছে। প্রথম একাদশে এবার থেকে সর্বাধিক চার বিদেশিকে রাখা যাবে। ২০১৪ সালে যখন আইএসএল শুরু হয় তখন প্রথম একাদশে ছয়জন বিদেশি ও পাঁচজন ভারতীয় ফুটবলারকে রাখার নিয়ম ছিল। ২০১৭-১৮ মরশুম থেকে সেই নিয়ম বদলে প্রথম একাদশে ছ'জন ভারতীয় ফুটবলার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। যা আসন্ন ২০২১-২২ মরশুম থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে সাত।
দেশের ফুটবলের স্বার্থেই
ভারতের ফুটবলের মান উন্নত করার আদর্শ নিয়েই এগোচ্ছে আইএসএল, তা সুনিশ্চিত করতেই ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা প্রথম একাদশে বাড়ানোর পদক্ষেপ করা হল বলে দাবি আয়োজকদের। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ক্লাব প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিধি মেনেই প্রথম একাদশে চার বিদেশি রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
দলগুলিকে নির্দেশ
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি দল তিন গোলকিপার-সহ ৩৫ জনকে দলে রাখতে পারবে। সর্বাধিক ছয় বিদেশিকে সই করাতে হবে এবং একজনকে বেছে নিতে হবে এএফসি-র সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে। লিগের বিধি মেনে একজন বিদেশিকে মার্কি প্লেয়ার হিসেবেও সই করানো যাবে। কোনও ভারতীয় ফুটবলার চোট পেলে ওই ৩৫ জনের বাইরেও ফুটবলারকে পরিবর্ত হিসেবে নিতে পারবে দলগুলি। আসন্ন মরশুমের স্যালারি ক্যাপ থাকছে ১৬.৫ কোটি টাকা। কাল ভারতীয় ফুটবলারদের ট্রান্সফার উইন্ডো খুলতেই সই করাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে দলগুলি এবং অবশ্যই এসসি ইস্টবেঙ্গল বাদে। কারণ, লাল হলুদের আইএসএল খেলা লগ্নিকারীদের সঙ্গে সংঘাত ও ফিফার ট্রান্সফার ব্যানের ফলে বিশ বাঁও জলে।
যুবদের প্রাধান্য
আইএসএল দলগুলির ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি থেকে উঠে আসা ফুটবলারদেরও সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। আগে অন্তত দুজনকে রাখতেই হতো, সেই সংখ্যা চার করা হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে সেই ফুটবলারদের মধ্যে দুজনকে খেলাতেই হবে। আকাশ মিশ্র, আপুইয়া, জ্যাকসন সিং, রাহুল কেপি, আশিস রাইদের মতো ফুটবলাররা গত মরশুমে প্রশংসনীয় খেলাতেই এই নিয়মে রদবদল করা হয়েছে।