স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দলীয় সর্বস্তরের সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভোটের ফলাফলের পর আজ প্রথম পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হেস্টিংসে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না দলের  মুকুল রায় (Mukul Roy)৷ অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) দিল্লিতে থাকায় তিনি এই বৈঠকে থাকছেন না৷ তবে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷

একুশের নির্বাচনে হারের পর বিপর্যস্ত অবস্থা বিজেপির। প্রতিদিনই কেউ না কেউ বেসুরো গাইছেন। কেউ আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। দলের ভাঙন রুখতে জরুরি বৈঠক ডাকল রাজ্য বিজেপি। সেই বৈঠকে রাজ্য নেতাদের প্রত্যেককে সশরীরে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুকুল রায় ছাড়াও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশুও নেই ওই বৈঠকে। নেই বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

উল্লেখ্য, সোমবারি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিধানসভা ভোটের মুখে দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা আজ তৃণমূলে ফিরতে তৈরি। আবার একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ী বিধায়করাও তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। যোগাযোগ করছেন আমাদের সঙ্গে। বিজেপির সঙ্গে থাকতে চাইছেন না তাঁরা। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা আজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। যদিও তাঁদের তৃণমূলে কবে ফেরানো হবে বা যোগদান করানো হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও দিন স্থির হয়নি।‘ অভিষেকের এই বক্তব্য  বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷

আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ড: বিনয় মিশ্রের নাগাল পেতে বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিল সিবিআই

এদিকে, সম্প্রতি চুঁচুড়া ও আসানসোলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে খোদ দিলীপ ঘোষকে। তথাগত রায়ের একের পর এক পোস্টও রাজ্য নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর স্ট্র‌্যাটেজি খুঁজতেই বসছে বৈঠক। সূত্রের খবর, শোনা যাচ্ছে সাংগঠনিক রদবদলের কথাও। তবে মুকুল রায়ের অনুপস্থিত নিয়ে দলের রাজ্য নেতাদের বক্তব্য, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মুকুল রায়ের শরীর ভাল নেই৷ তাই তিনি বৈঠকে থাকতে পারছেন না৷

তবে রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ অন্য গন্ধ পাচ্ছেন৷ কারণ কয়েকদিন আগেই,  পুরোনো দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে বিজেপির আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন মুকুল রায়ের (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Shuvrangshu Roy)৷  বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের একটি বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। ওই পোস্টে বিজেপিকে আত্মসমালোচনার পরামর্শ দিয়েছেন শুভ্রাংশু৷ শুধু তাই নয়, মুকুল রায়ের করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিকে, কলকাতার হেস্টিংসে যখন রাজ্য বিজেপি‌ সভাপতির ওই বৈঠক চলছে তখন দিল্লিতে  দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে  বৈঠক করছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে শাসক দলের মোকাবিলা করে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার রূপরেখাও ঠিক হবে দিল্লিতে। আলোচনা হতে পারে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক।

এদিকে, রবিবার ভাটপাড়ায়  বিজোপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কুলি ডিপোয় ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.