কি ভাবছে কেন্দ্রীয় বিজেপি?
দিল্লি ঘনিষ্ট এক বঙ্গ-বিজেপি নেতার বক্তব্য হল, ভোটে হারলে কর্মী সমর্থকদের থেকে একটা চাপ আসে৷ সেটা সবসময় ভুলও নয় আবার ঠিকও নয়।সমালোচনার মুখে বা চাপে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে চাপ আরও বাড়বে৷ এবং বারবার সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকবে৷ এতে সংগঠন শক্ত হওয়ার থেকে দুর্বল হবে৷ বিজেপির মতো শৃঙ্খলাপূর্ণ দলে যা একেবারেই কাম্য নয়৷ তাই চাপের মুখে নয় দলের প্রয়োজন অনুসারে বদল হবেন রাজ্য সভাপতি৷
বিতর্ক আর দিলীপ ঘোষ যেন সমার্থক
বঙ্গ-বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ বিরোধী লবির নেতার বক্তব্যও খুব স্পষ্ট, তাঁদের মতে, বিতর্ক আর দিলীপ ঘোষ যেন সমার্থক। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে পা রেখেই নিজ গুণে পরপর বিতর্ক তৈরি গেছেন বঙ্গ-বিজেপির এই জনপ্রিয় নেতা৷ কখনও গরুর দুধে সোনা রয়েছে বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন৷ কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে 'বারমুন্ডা' পরার উপদেশ দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন৷ সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে এক বিজেপি সমর্থক দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতিরা পাশে দাঁড়াচ্ছে না৷ মার খেতে হচ্ছে সাধারণ বিজেপি সমর্থকদের৷ এই শুনে হঠাৎ রেগে যান দিলীপ ঘোষ৷ সমর্থকটিকে তৃণমূল করার পরামর্শও দিয়ে বসেন।
এসব বলে বিজেপির দলের ক্ষতি করছেন দিলীপ এমনটাই মনে করেন দিলীপ বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য এই বিষয়গুলোও নিশ্চয় ভেবে দেখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তাই হয়ত এখনই না সরলেও তিন বছরের আগেই সরানো হতে পারে দিলীপ ঘোষকে।
ঢেলে সাজানো হতে পারে বিজেপি রাজ্য কমিটি
অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বঙ্গ-বিজেপি নেতার বক্তব্য, দিলীপ না সরলেও ঢেলে সাজানো হতে পারে বিজেপি রাজ্য কমিটি৷ যেখানে অনেক বড় নাম যেমন বাদ যেতে পারে ঠিক তেমনই জ্যোর্তিময় সিং মাহাত-র মতো জনপ্রিয় নেতারা উঠে আসবেন গুরুত্বপূর্ণ পদে৷ পাশপাশি শেষ কয়েক বছরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন যে সমস্ত নেতারা তাঁদের মধ্যে অনেকেই জায়গা পেতে পারেন রাজ্য কমিটিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক বিজেপি নেতার কথায়, 'আর সাদা হাতি পুষতে চাইছে না দল।' অর্থাৎ যারা বড় নাম কিন্তু সংগঠনে ও দলের বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা নেয় তাদের পদ এবার যেতে পারে৷ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে সব নেতাদের সামনের সারিতে আনতে চাইছে যাঁরা দৌড়াদৌড়ি করে বিজেপি সমর্থকদের আস্থা যোগাবেন।